বালিকাণ্ডে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে, ৫০ জনকে শাস্তির সুপারিশ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আবাসন প্রকল্পে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ৯ হাজার টাকার দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনা নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তি সুপারিশ করে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রণালয়ের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) এ প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে অ্যার্টনি জেনারেলের অফিস থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি আমি রিসিভ করেছি। প্রায় ১ হাজার পেইজের এই প্রতিবেদন। এখানে দুইটা তদন্ত কমিটি ছিল। একটা তদন্ত কমিটি ৪ টা বিল্ডিংয়ে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা দুর্নীতি প্রমাণ পেয়েছেন। এ ঘটনায় ৫০ জনকে দায়ী করেছে কমিটি। এখনো আমরা পুরো প্র্রতিবেদনটি পড়তে পারিনি। পুরোটা পড়ে আমরা আদালতে জমা দিবো। যদি প্রতিবেদন স্বচ্ছ না হয়, তাহলে আবারো আবেদন করবো পুনরায় তদন্ত করার জন্য।

তিনি আরো বলেন, আমার হতাশা লাগে। কারণ একটা মন্ত্রণালয়ের ৫০ জন যদি দুর্নীতি করে। তাহলে কিভাবে কী।

সম্প্রতি রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য, বিভিন্ন সামগ্রী কেনা ও তা ভবনে উঠানোর অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে, দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। গত মাসের মাঝামাঝিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেই রিপোর্টে দেখানো হয় প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। যা ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ ৭৬০ টাকা। এ ঘটনায় বালিশকাণ্ডে দুর্নীতি সুষ্ঠু তদন্তে আদালতে একটি রিট করেন আইনজীবী সুমন।

সে ঘটনার পর গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। বলা হয়েছিল ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। কয়েকবার তারিখ পিছিয়ে সবশেষ প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিল গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।