বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ, লজ্জায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পলি খাতুন নামের এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে লজ্জা ও সামাজিক নিগ্রহ থেকে বাঁচতে পলি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার মহেশপুর গ্রামের বাদল মোল্লার মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তিন মাস আগে এক সন্তানের জননী পলিকে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী ভোগাইল বগাদী গ্রামের ওলিদ ফকিরের ছেলে এনামুল হক। স্ত্রী-সন্তান রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করায় পরিবারের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে এনামুল দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামেই ভাড়া থাকতে শুরু করেন।

ওই বাড়ির মালিক সামাদ আলী জানান, বুধবার রাত দুইটার দিকে মুখোশধারী ১০/১৫ জনের একটি দল এসে এনামুল ও তার স্ত্রী পলিকে তুলে নিয়ে যায়। ভোরে অনেকটা মুমুর্ষু অবস্থায় তাদের আবার বাড়িতে রেখে যায়। এ সময় এনামুলকে কিছুটা আহত দেখা যায়।

তিনি আরও জানান, বাড়িতে রেখে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পলি বিষপান করেন। পরে স্থানীয়রা এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিলে তিনি পলিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে এনামুল স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে গেছেন।

খবর পেয়ে দুপুরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পলির লাশ উদ্ধার করে।

প্রতিবেশী রোমেসা খাতুন জানান, পলির মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় ও নখের আঁচড়ের দাগ দেখা গেছে।

নিহতের মা সুখজান নেসা ও বড় বোন লিপি খাতুনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই এনামুলের দুই ভাই মিজান ও মিনারুল পলিকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। তাদের সহযোগিতায় পলিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে এনামুল পলাতক। এতেই পুলিশের সন্দেহ, পলিকে অপহরণ ও নির্যাতনের সঙ্গে এনামুল নিজেও জড়িত।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।