বিএনপিকে জামাই আদরে সংসদে আনা হয়েছে : ইনু

জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপিকে জাতীয় সংসদে দেখে বিরক্ত জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিএনপিকে রাজনীতি থেকে উপড়ে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সম্প্রতি দেশের প্রথম সারির একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইনু এ মন্তব্য করেন।

জাসদ সভাপতি বলেন, পঁচাত্তরের পর সামরিক শাসনের মাধ্যমে গায়ের জোরে স্বাধীনতাযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের মাধ্যমে বিরোধী পক্ষ করা হয়েছে। একদিকে মুক্তিযুদ্ধ গণতন্ত্র, সমাজতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তি; তার বিপক্ষ হচ্ছে জঙ্গিবাদী জামায়াতি যুদ্ধাপরাধী চক্র, যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এজন্যই বলি, বিএনপি রাজনীতির বিষবৃক্ষ। যতই ডালপালা ছাঁটেন, বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলতে না পারলে দেশে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের পুনরুৎপাদন হবেই।

হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজনীতিতে বহু দল ও বিরোধীদল লালনের নামে সাম্প্রদায়িকতাকে হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া হলো। এতে পালাক্রমে রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধ সমর্থিত সরকার গঠন হতে লাগল। এখন বলা হচ্ছে, গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকতে হবে। বিএনপিকে জামাই আদর করে সংসদে আনা হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হলো। কিন্তু যত দিন বিএনপি রাজনীতিতে থাকবে ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী জামায়াতিরা থাকবে, তত দিন দেশ ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়।

ইনু মনে করেন গত ১০ বছরে ‘তাদের’ বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহিষ্ণুনীতি গ্রহণের কারণে ‘তারা’ এখন কোণঠাসা।

ইনু বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বয়কট করে তারা রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও পরাজিত হয়েছে। ২০১৮ সালের রাজনীতির পরে বিএনপির অপরাজনীতির যুগের অবসান হলো। যেমন করে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরে মুসলিম লীগ যুগের অবসান হয়।

রাজনীতিতে বিএনপিকে মুসলিম লীগের মতোই বিলীন মনে করছেন ইনু। তবে দেশজুড়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দাবি- ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে।