‘বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনে এখন শিশুরাও হাসে’

বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের হুমকি শুনতে শুনতে এখন বাচ্চা শিশুরাও হাসে। আইনি পথ ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প কোনো পথ নাই।

শুক্রবার শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হুমকি গত সাড়ে ১০ বছর ধরে আমরা শুনে আসছি। শুনতে শুনতে এখন বাচ্চা শিশুও তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসে। কারণ বিএনপির আন্দোলনের হুমকি একটি হাস্যকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বরিশালে বিএনপির সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কয়েকটি বক্তব্যের সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিছু মানুষের পকেট ভারী হচ্ছে- ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, উনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন দেশের উন্নয়ন না করে নিজেদের পকেট ভারী করেছিলেন। তখন দুর্নীতিতে দেশ পর পর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাই তারা এমন কথা বলছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ একটি ভোটও পাবে না- এই বক্তব্যের জন্য মির্জা ফখরুলের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মতো একটি দলের মহাসচিব যদি এমন কথা বলেন, তাহলে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন জাগে। তিনি আসলে কতটুকু মানসিকভাবে ধীরস্থির আছেন সেই প্রশ্নই জাগে।

বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আপনারা আমাদের সমালোচনা করবেন। আমরা সমালোচনা চাই। কিন্তু অন্ধের মতো সমালোচনা করবেন না। যেই উন্নয়ন হচ্ছে, সেটি স্বীকার না করার দৈন্যতা থেকে বেরিয়ে আসুন। এরপর সমালোচনা করুন। আমরা সমালোচনাকে স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, তারা কয়দিন পর পর বলেন বেগম জিয়া আর বাঁচবে না, তিনি কিছু খেতে পারছেন না, তার জীবন সংকটাপন্ন। পরে খবর নিয়ে জানা গেল ওনার জিহ্বায় কামড় লেগেছে। এতে একটু ঘা হয়েছে, তাই কিছু খেতে পারছেন না। জিহ্বায় কামড় তো আমাদেরও লাগে। এটাতে জীবন সংকটের কি হলো, তা আমার বোধগম্য নয়।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এই সভায় সংগঠনটির উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।