বিএনপির কোন নেতা কী সাজা পেলেন

একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা পৃথক দুই মামলার রায়ে যে ৪৯ জন আসামিকে দণ্ড দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সাতজন সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। প্রবাসে অবস্থানকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পেয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। একই দণ্ড পেয়েছেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম।

হামলার ১৪ বছর পর বুধবার ঢাকার ১ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন যাদের দণ্ডের রায় ঘোষণা করেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নিশ্চিতভাবেই তারেক রহমানের নাম। রায়ের পরও তার বিষয়েই বেশি কথা হচ্ছে।

আর যে ১৯ জন মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন তাদের মধ্যে রাজনীতিতে জড়িত তিনজনই বিএনপির সদস্য। এদের মধ্যে আছেন হামলার সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিণ্টু। সাভারের বিএনপি নেতা হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফও পেয়েছেন একই সাজা।

এ ছাড়া সাবেক উপমন্ত্রী পিণ্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। তিনি অবশ্য পলাতক।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় যে গ্রেনেড হামলা হয়, তার রায় নিয়ে বিএনপির উদ্বেগের কারণ ছিল এই সাত নেতা। রাষ্ট্রপক্ষ এদের সবারই সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসির দাবি করেছিল। আর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণেরও দাবি করেন আইনজীবীরা।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের নেতাদের আসামি করা নিয়ে নানা বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানসহ তাদের নেতাদের জড়িয়েছে।

তবে, আওয়ামী লীগ এবং আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তদন্তে যাদের নাম এসেছে, তাদেরই আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।