বিএনপির জন্য বড় বড় হার অপেক্ষা করছে : কাদের

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রতি উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা সব নির্বাচনের রেজাল্ট পর্যন্ত কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ করে। এটা তাদের পুরনো ভাঙা রেকর্ড। হেরে গিয়ে প্রলাপ বকা ছাড়া তাদের আর কি করার আছে। নির্বাচনে তারা হেরে গেছে।

কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে (ধানের শীষ) বিপুল ভোটে হারিয়ে প্রাথমিকভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) তালুকদার আবদুল খালেক।

এই প্রাথমিক ফল ঘোষণার আগেই মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে স্থাপিত নির্বাচনী ফলাফল সংগ্রহ ও ঘোষণা কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেককে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে বিএনপির অভিযোগ মনগড়া। এটা কি বিশ্বাস করবেন?

মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীর অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ জনগণের চোখে ধুলো দিয়েছে এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) চোখে কি ধুলো পড়েছে? আপনারা কি মিড়িয়ার বাইরে? আপনাদের প্রতিনিধিদের কি খুলনায় নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে? এটা তাদের মিথ্যাচার। হেরে গিয়ে তারা পাগল ও উন্মাদের মতো প্রলাপ বকছে। এখানেই নয় শুধু সামনে তাদের জন্য আরও বড় বড় হার অপেক্ষা করছে। জনবিচ্ছিন্ন হলে রাজনীতিতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে হয় আশা করি খুলনায় বিএনপি তা টের পেয়েছে। বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি যে দেশের মানুষ গ্রহণ করে নাই, তা বিএনপি সামনের দিনগুলোতে আরও ভালোভাবে বুঝবে।

নির্বাচন কমিশন সরকারে প্রতি একচোখা নীতি নিয়েছে বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, কুমিল্লায়তো তারা এ কথা বলে নাই। আমরাতো তখন বলি নাই ইসি বিএনপির দিকে একচোখা নীতি নিয়ে অবস্থান নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জনগণের মতকে মিসলিড করেছে। তারা সবসময় মনে করতো জনগণ তাদের ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত ও মুখিয়ে আছে। খুলনা থেকে তাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। খুলনার অন্য অঞ্চলে আওয়ামী লীগের বিজয়ের রেকর্ড থাকলেও শহরাঞ্চলে তেমন ছিল না। এবার দেখুন ভোটের অবস্থা। এটা হয়েছে জননেত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের কারণে। মানুষতো বোকা নয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাককালে উন্নয়নের কোন দৃষ্টান্ত রয়েছে যে তার জন্য ভোট চাইতে পারে।

তিনি বলেন, কোনো পর্যবেক্ষক আজকের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাই। সেখানে নির্বাচন কমিশন বলেছে, বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয়। বিএনপি ১০০ ভোটকেন্দ্র নিয়ে অহেতুক অভিযোগ তুলেছে, যার জবাব নির্বাচন কমিশন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেখানে বলেছে, তারা হ্যাপি সেখানেতো আমাদের কিছু বলার নাই।

আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, আমরা রাজনীতি করে প্রোঅ্যাক্টিভ। বিএনপি নেতাদের বসে বসে মিথ্যাচার করা ছাড়া কোনো প্রোঅ্যাক্টিভ কাজ নেই। তারা দেশে কোনো প্রোঅ্যাক্টিব মুভমেন্ট গড়ে তুলতে পারে নাই। এখন তাদের মিথ্যাচারই সম্বল। আর মাঝে মাঝে কূটনৈতিকদের কাছে ধরনা দিয়ে সরকারের নামে নালিশ করা। এটাই তাদের কাজ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এইচটি ইমাম, রাশিদুল আলম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, দেলোয়ার হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।