বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনার গাড়ি ভাঙচুর

ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খানের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড় সংলগ্ন চেহেরা মঞ্জিলের সামনে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পৃথকভাবে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি বিএনপির অস্থায়ী নির্বাচনী অফিসে বেলা ১১টার দিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা আহ্বান করে জেলা বিএনপি। সকাল সোয়া ১০টার দিকে জীবা আমিনা খান নবগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে চেহেরা মঞ্জিলে আসেন। সামনে গাড়ি পার্কিং করে ভেতরে তারা বৈঠকে বসেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে একদল যুবক এসে অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ভাঙচুরের অভিযোগ দিয়ে ফেরার সময় পুনরায় হামলা চালানো হয়। এতে গাজী খায়রুজ্জামান শিপু, গাজী খালেদুজ্জামান টিটু, গাজী এনামুল হকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর অভিযোগ করে বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরের কাছে ভাঙচুরের বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে ফেরার সময় যুবলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী পুনরায় হামলা করে। দুই দফা হামলায় একটি প্যারাডো গাড়ি, একটি হাইয়েস গাড়ি ও একটি নোহা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা পালনের জন্য এসে গাড়ি রেখে বসেছি। এরইমধ্যে গাড়ির ওপরে হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী (শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু) আমাদের মুরব্বি। আমি তার কাছে গিয়ে বলবো আপনার ছেলেরা আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ ক্ষতিপূরণ আপনাকেই দিতে হবে।

ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, বিএনপি শহরের মধ্যে নির্বাচনী মিটিং করবে সেটা পুলিশকে জানায়নি। আমাদের না জানালে আমরা কীভাবে তাদের নিরাপত্তা দেব। রাস্তার কাজ চলমান থাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী একটা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।