বিএনপির ‘লাস্ট অ্যান্ড ফাইনাল’ কর্মসূচি আসছে

দলীয় নেতাকর্মীদের ‘সবশেষ এবং চূড়ান্ত’ কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

উপযুক্ত সময়ে এই কর্মসূচি আসবে-এমনটি জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, “এইবার কর্মসূচি সময় বুঝে, উপযুক্ত সময়ে দেওয়া হবে। যাতে করে আমাদের পিছিয়ে চলে যেতে না হয়। এটা হবে, ‘লাস্ট অ্যান্ড ফাইনাল কর্মসূচি’।”

রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আইনমন্ত্রী।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার এক বছর পর সরকার পতনের দাবিতে লাগাতার অবরোধ এবং পরে হরতালের কর্মসূচি দেয়। সে সময় বিএনপি নেতারা একে সরকার পতনের ‘চূড়ান্ত’ কর্মসূচি বলেছিলেন।

তবে ৯২ দিনের কর্মসূচি ভেঙে পড়ার পর হরতাল বা অবরোধ না তুলেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয় ছেড়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এরপর থেকে বিএনপি আর কোনো আন্দোলনের ডাক দেয়নি।

সুবিধাজনক সময়ে ‘লাস্ট অ্যান্ড ফাইনাল কর্মসূচি’ দেয়ার কথা জানিয়ে মওদুদ বলেন, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা যখন মাঠে নামব, বিএনপি যখন মাঠে নামবে, তখন গণআন্দোলন এবং দেশের মানুষের গণজোয়ার হবে। সে জোয়ারে আশা করি নৌকা ভেসে যাবে।’

‘নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নেবেন। তার সাথে থে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন।’

প্রধানমন্ত্রী যে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছেন, সেটি সংবিধানে নেই দাবি করেন মওদুদ। প্রধানমন্ত্রী সংবিধান থেকে সরে এসেছেন কি না সে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাহলে আলাপ আলোচনা হতে পারে, সবাইকে নিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন আমরা করতে পারি।’

‘আর যদি সেটা মনে না করেন, তাহলে আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যতই অত্যাচার, নির্যাতন করেন না কেন, মামলা হামলা দেন না কেন, যতই আমাদের নেত্রীকে অবরুদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন না কেন, এমন একদিন আসবে যেদিন আপনারা বাধ্য হবেন জনগণের এই দাবি মেনে নিতে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার বিষয়ে মওদুদ বলেন, ‘সেদিন কোর্টে আমাদের নেত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি চিন্তিত কি না? উনি বললেন, আমি এগুলো পরোয়া করি না।’ ‘এরকম শক্ত মনের নেত্রী আমাদের আছে।’

বেগম খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বলেও দাবি করেন মওদুদ।

বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীর মুক্তির দাবিতে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজন সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।