বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয় : ওবায়দুল কাদের

দশম সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হলেও এবার আর এমনটি হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের বিশেষ বর্ধিত সভার তৃতীয় পর্বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৩ জুন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রতিনিধিরা যোগ দেন প্রথম পর্বের বর্ধিত সভায়। দ্বিতীয় পর্বে ৩০ জুন যোগ দেন চারটি বিভাগের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রতিনিধিরা।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। এরপর বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসিয়েছে তাদের সঙ্গে সংলাপের বসার কোনো ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই।

এ ক্ষেত্রে ২০১৩ সালে সংলাপের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন এবং বিএনপি নেত্রীর দুর্ব্যবহারের কথাও তুলে ধরেন কাদের। বলেন, ‘মনে আছে টেলিফোনের সেই সংলাপ কী নির্মমভাব, নির্দয়ভাবে অপমান করে শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন খালেদা জিয়া।’

২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর গুলশানে বিএনপি নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর দেখতে যাওয়ার পর গুলশান কার্যালয়ে তাকে ঢুকতে না দেয়ার কথাও তুলে ধরেন কাদের। বলেন, ‘এই নিষ্ঠুরতা যারা করে তাদের সঙ্গে কি সংলাপ হয়?’

‘সেদিন দরজা বন্ধ করে বাংলাদেশে সংলাপের দরজাই তারা বন্ধ করে দিয়েছে।’

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগের মতোই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, বিএনপির নির্বাচকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি এবারও মানছে না সরকার। আর বিএনপিও এই সরকার ছাড়া ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও পাল্টায়নি।

আবার দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে। বিএনপি এমনও বলছে, তাদের নেত্রীকে ছাড়া ভোটে যাবে না তারা।

তবে বিএনপির জন্য ভোট বর্জন এবার কিছুটা সমস্যাসংকুল এই কারণে যে, নিবন্ধন আইন অনুযায়ী পরপর দুইবার ভোট বর্জনকারী দলের নিবন্ধন থাকবে না। তাই বিএনপির জন্য ভোট বর্জন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর প্রধানমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক।

তাই বিএনপি এবার সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে আগ্রহী আর নানা সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে সংলাপে বসতে আহ্বান জানাচ্ছেন।