বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের মামলায় আ.লীগ বিব্রত নয় : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের মামলার বিষয়ে সরকারি দল বিব্রত নয়। এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখবে।

শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নেওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭৪ জন প্রার্থী হাইকোর্টে নির্বাচনী মামলার আবেদন করেছেন। আবেদনে তাঁরা ওই নির্বাচন বাতিল চেয়েছেন। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে প্রার্থীরা এসব নির্বাচনী মামলা করেন।

মামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ কী ভাবছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি আমলে নেওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর ট্রাইব্যুনালে যদি কেউ মামলা করেন, এ বিষয়ের দায় বর্তায় নির্বাচন কমিশনের ওপর। নির্বাচন কমিশন এখন আদালতে গিয়ে মোকাবিলা করবে। আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। এটাই নিয়ম। এখানে তাদের (আওয়ামী লীগ) কিছু করার নেই। বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।

জামায়াতের এক শীর্ষ নেতার দল থেকে পদত্যাগ এবং মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য দলটি ক্ষমা চাইলে আওয়ামী লীগ বিষয়টি কীভাবে নেবে—এ ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমা চাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন তাঁরা। জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতের ওপর নির্ভর করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপি দলীয় সিদ্ধান্ত নিলেও দলটির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা তা মানবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল যেন বৃদ্ধি পায়, সেই কৌশল থেকেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে না। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহ বাড়বে, তাতে বিএনপির লাভ কী? রেজাল্ট কি তাদের পক্ষে আসবে? নৌকার প্রার্থী না জিতলে বিদ্রোহী প্রার্থী জিতবে। সে-ও তো আওয়ামী লীগের। তাতে বিএনপির লাভ কী?

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সাত্তার, সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।