বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে ক্যান্সারের বিষফোঁড়া : হানিফ

বিএনপি-জামায়াত হলো বিষফোঁড়া। এরা যতদিন থাকবে বাংলাদেশের মানুষের উপর ততদিন আঘাত করবে। উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করবে। বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা এই ক্যান্সার বিষফোঁড়াকে উপড়ে ফেলতে চাই।

শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রামের সাত জেলা কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন জেলা আওয়ামী লীগের এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু।

সভাপতির বক্তব্যে হানিফ বলেন, “পরিস্কার জানিয়ে দিতে চাই, লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। খুনি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করব ইনশাল্লাহ। বিচারের রায় কার্যকর করব।”

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে হানিফ বলেন, “তিনি বলেছেন কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতু দিয়ে জনগণের কোনো লাভ হবে না।

“এদের মানসিকতাই উন্নয়ন বিরোধী। যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হবে অর্থনীতি তত এগিয়ে যাবে। ক্ষমতায় থেকে এরা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। এখন বাইরে থেকে আঘাত করছেন। তাদের সবসময় লক্ষ্য দেশকে কিভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়।”

হানিফ বলেন, “তিনি বলেছেন (মির্জা ফখরুল) মামলা হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন। তার চোখে পানি এসে গেছে।

“কেন মামলা হয়েছে? তারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে, তাই মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের যখন প্রকাশ্যে গুলি করে, বোমা মেরে, কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল আপনার চোখের পানি? ২১ অগাস্ট নেত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলা হলো। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বে কোথাও এমন হামলা হয়নি। তখন কোথায় ছিল আপনার চোখের পানি?”

ফখরুলের উদ্দেশে হানিফ বলেন, “চোখের পানি সবে আশা শুরু হয়েছে, আরও আসবে।”

আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী এনামুল হক শামীমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী, দক্ষিণের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী।

এছাড়া সাংসদ নজরুল ইসলাম, এম এ লতিফ, মাহফুজুর রহমান মিতা, সাইমুম সরওয়ার কমল, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নারী সাংসদ ওয়াসিকা আয়শা খানম ও খাদিজাতুল আনোয়ার সনি উপস্থিত ছিলেন।