‘বিএনপি নির্বাচনে আসুক, এটা আমরা আন্তরিকভাবে চাই’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকার আন্তরিকভাবেই চায়, বিএনপি গতবার যে ভুল করেছে সে ভুলের পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়ে নির্বাচনে আসুক। এটা আমরা আন্তরিকভাবে চাই। কারণ আমরা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে চাই।’

সোমবার ফেনীতে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে। সে মামলার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। মামলায় একটা রায় হবে। রায়ে বেগম জিয়া দণ্ডিত হবেন না খালাস হবেন, তা তো এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যদি তিনি দণ্ডিত হন তাহলে তো নিম্ন আদালতের যে রায় সেটার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা যাবে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাওয়া যাবে। কাজেই তাঁরা আগাম কেন এ নিয়ে অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। আমি জানি না, তাঁরা কি নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে বেগম জিয়া দণ্ডিত হবেন? যেকোনো কিছু হতে পারে আদালতের রায়। সেটা তো আমরা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।’

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ফাঁকা মাঠে কাউকে গোল দিয়ে দেব এ রকম নির্বাচন সরকার করতে চায় না।’

‘নির্ধারিত সময়ের আগেই ফ্লাইওভার’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে চারলেনের ফেনী অংশের ফ্লাইওভার। চলতি বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেনাবাহিনী নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে এ কাজটি শেষ করতে যাচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই তাঁরা এ প্রকল্পের সমাপ্তি করবেন এবং ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী যখনই সময় দেবেন, সে সময়, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যেকোনো একদিন এ সুদৃশ্য এবং সুবিধাজনক যোগাযোগের এক নতুন মাইলফলক ফেনীর ফ্লাইওভার ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনের ফেনী অংশে উদ্বোধন হবে। এ ফ্লাইওভারের মোট খরচ ১৮১ কোটি টাকা। আমি আনন্দিত সেনাবাহিনী নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছে। যা আগামী জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। সে ফ্লাইওভার বিজয়ের দিনের আগেই কাজ শেষ হবে এবং বিজয়ের মাসেই উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইসিবি ব্রিগেডের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল মজিদ, ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ও ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।