বিএনপি নির্বাচনে না আসলে কিছু করার নেই : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি নির্বাচনে না আসলে কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আদালত সাজা দিয়েছে, আমরা তো দেইনি। এ কারণে যদি তারা নির্বাচনে না আসেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের করার কী আছে!’

তিনি বলেন, সময়মতো নির্বাচন হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং যাদের জনগণের ভোটের উপর আস্থা আছে, তারা নির্বাচনে আসবে। এখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র। কোন দল নির্বাচনে করবে, না করবে- এটা তাদের সিদ্ধান্ত।

সোমবার গণভবনে ইতালি সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) পরিচালনা পর্ষদের ৪১তম বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাকে (খালেদা জিয়া) ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। মামলা তো আমি দেই নাই। এটা আদালত দিয়েছে। মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই সরকারও তাদের ছিল। তাদের নিজেদের লোক।’

তিনি বলেন, ‘এই মামলা ১০ বছর চলেছে। সেখানে ৮০ বারের বেশি রিট করা হয়েছে এবং সময় নেয়া হয়েছে। জজের প্রতি তিনবার অনাস্থাও দিয়েছে। জজও পরিবর্তন হয়েছে। এতকিছুর পরও তিনি ৪৩ দিন কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। তারপর তার সাজা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়ার) প্রথম আইনজীবী রফিকুল হক সাহেব কিন্তু বলেছেন- টাকাটা দিয়ে দেন। তখন কিন্তু আর মামলাটা থাকতো না। টাকা দেননি। এতিমের টাকা খেলে শাস্তি আল্লাহও দেন, আদালতও দেন। আমাদের কিছু করার নেই। কিছু করার আছে?’

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা পরিবর্তনের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির যেসব নেতারা দেশের অবস্থান করছেন, তাদের মধ্যে কি একজনও নেই, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের করা যেত। যাকে দায়িত্ব দেয়া হলো সে তত্ত্বাবধায়কের আমলে রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে চলে গেল। এফবিআইয়ের তদন্তের অপরাধী প্রমাণ হয়ে সে সাজাপ্রাপ্ত।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপিতে এখন যারা আছেন, তারা দেখছি খুবই কাজ করছে, খুব কর্মঠ। তাদের মধ্যেও কি একটা নেতা পাওয়া গেল না, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যেত?’

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটিতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে ১৭ জানুয়ারি শনিবার রাতে দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।