বিএনপি বাজেট না পড়েই সমালোচনা করছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এবারের বাজেট জনবান্ধব ও গণমুখী। এই বাজেটের মাধ্যমে দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, সদ্য ঘোষিত বাজেট বিএনপি না পড়েই সমালোচনা করেছে। এটা তাদের চিরাচরিত অভ্যাস। ভালোকে তারা ভালো বলতে পারে না। ভালোকে খারাপ বলে, আর খারাপকে ভালো বলে বিএনপি।

শুক্রবার ভোলায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দু:স্থ ও অসহায়দের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বিশেষ অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী দেড় হাজার শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেন। পরে তিনি বাপ্তা, কাচিয়া, পশ্চিম ইলিশা, পুর্ব ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নে অসহায়দের মাঝে আরো ৮ হাজার শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, চলতি বছর দেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি হার ৭ দশমিক ৬৫ ভাগ রয়েছে। ২০২০ সালে এটাকে আমরা ৮ শতাংশে উন্নীত করব। সেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেই জাতীয় সংসদে এবারের বাজেট পেশ করা হয়েছে।

‘এই বাজেট একটা উন্নয়নমূলক বাজেট। এর মাধ্যমে গ্রামের অর্থনীতি আরো মজবুত হবে। আমাদের নদী ভাঙ্গন রোধসহ সকল কিছুকেই এই বাজেটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের সীমা ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য আমাদের রয়েছে তাতে পৌঁছাতে পারবো।’

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না এসে যে ভুল করেছে, এবার আর সে ভুল করবে না। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তারা (বিএনপি) আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল দেশের মানুষের জন্য তারা কিছু করেনি। তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য গড়েছে। আর শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করছে।

আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠিত হতে হবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, পুলিশ সূপার মো. মেকতার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।