বিএনপি ২০০১ সালের ইশতেহার কতটা বাস্তবায়ন করেছিল?

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম। প্রার্থী মনোনয়ন থেকে শুরু করে ক্ষমতায় গেলে কি করবে সে অঙ্গীকার সম্বলিত ইশতেহার প্রণয়নের কাজও চলছে।

এবার প্রায় দশ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। এর আগে সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিলো দলটি।

২০০১ সালের নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পরের পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। নির্বাচনের আগে বিএনপি যেই ইশতেহার দিয়েছিলো তার কতটা পরে তারা বাস্তবায়ন করেছিল?

এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির কয়েকজন সাধারণ নেতাকর্মী সংসদে নারী আসন বাড়ানো, নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করলেও বিস্তারিত তথ্য, এমনকি ওই ইশতেহারে কি ছিল তাও মনে করতে পারেননি।

কী ছিলো বিএনপির ২০০১-এর ইশতেহারে?

২০০১ এর অক্টোবরের নির্বাচনের ভোটগ্রহণের প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ঢাকায় তার দলের পক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

যাতে ত্রিশটিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় গেলে সেগুলো বাস্তবায়নের কথা বলেছিলেন তিনি।

যার মধ্যে ছিলো সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে পাঁচশ করা এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বাড়ানো।

মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করা।

ইশতেহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাস্তবায়ন হয়েছে?

  • ৫০০ আসনের সংসদ হয়নি
  • সংসদে নারীর আসন বাড়ানো হয়েছে (ত্রিশটি থেকে বাড়িয়ে পঁয়তাল্লিশ হয়েছিলো)
  • স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন কমিশন প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো
  • প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিদের সম্পদের হিসাব দেয়া হয়নি
  • বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ হয়নি
  • রাষ্ট্রায়ত্ত রেডিও টিভির স্বায়ত্বশাসন হয়নি
  • স্থায়ী পে- কমিশন হয়নি
  • গঙ্গার পানি চুক্তি পরিবর্তন হয়নি
  • পার্বত্য চুক্তির নতুন সমাধান হয়নি
  • জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও গ্রাম সরকার গ্রাম সরকার হয়েছিলো
  • ইন্টারনেট ভিলেজ হয়নি
  • সবার জন্য বিদ্যুৎ হয়নি
  • প্রবাসী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ও তৈরি পোশাক শিল্প মন্ত্রণালয় তৈরি পোশাক হয়নি
  • সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ হয়নি

বিএনপির দাবি তারা সফল

বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দেয়া ইশতেহারের একটি অংশে ২০০১ থেকে পরের পাঁচ বছরে তাদের ‘সফলতা’গুলোর একটি বর্ণনা দিয়েছে।

সাফল্য ২০০১-২০০৬ শিরোনামে এই অংশে বলা হয়েছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করার লক্ষে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং সংবিধান ও আইনের অধীনে কার্যকর ভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা ও জনমত সৃষ্টির জন্য নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ, মিডিয়া এবং জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা নেয়া হয়

দলটির দাবি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও বিএনপি প্রায় সমার্থক। বিএনপি যখনই দেশ সেবার দায়িত্ব পেয়েছে তখনই দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।

কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় যথাসম্ভব হ্রাস করে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও দ্রুত কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৃষি খাতের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি, গবেষণা ও গবেষণালব্ধ ফলাফলকে মাঠে প্রয়োগের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

নানা প্রতিবন্ধকতার ভেতরেও চারদলীয় জোট সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে নকল মুক্ত পরীক্ষা, মেয়েদের বিনামূল্য পড়ালেখাসহ শতাধিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও উন্নীত করে।

সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের দিকে অধিক জোর দেয়া হয়।

বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়।

দেশের সবকটি প্রধান হাইওয়ের উন্নয়ন, বড় বড় নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ, চট্টগ্রামে নিউমুরিং টার্মিনাল নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের আধুনিকায়ন, ভৈরবের কাছে মেঘনা সেতু নির্মাণ ও মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী সেতু নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর ওপর তৃতীয় সেতু নির্মাণ কাজে অগ্রগতি, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও জাপানের অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি প্রাপ্তি ও সম্ভাব্যতা যাচাই কাজের সমাপ্তি, চট্টগ্রাম ও সিলেট এয়ারপোর্টে নতুন দুটি টার্মিনাল বিল্ডিং নির্মাণ, এসবই হচ্ছে বিগত বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের পাঁচ বছরে যোগাযোগ খাতে উন্নয়নের রেকর্ড।

দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশাসনকে জনগণের হাতের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ও গ্রাম পর্যায়ে যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি সবসময়ই কাজ করেছে।

এ লক্ষ্যে নির্বাচিত বিএনপি সরকার প্রচলিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব বহাল রেখেই স্থানীয় উন্নয়ন ও জনকল্যাণে প্রান্তিক জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ সম্প্রসারিত করে।

সহজে ও কম খরচে, দ্রুত বিচার পাওয়ার জন্য এবং দেশের ঘুণে ধরা বিচার ব্যবস্থাকে গতিময় এবং জনগণের আস্থাশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে বিগত বিএনপি জোট সরকার বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক সংস্কার কার্যক্রমের সূচনা করে।

নারীদের ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসায়ে আগ্রহী ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মে নিয়োজিত নারীদের জন্য সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণ প্রদান করা হয় এবং চাকরিতে নারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

যৌতুক প্রথা, এসিড নিক্ষেপ এবং নারী ও শিশু-পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার ন্যূনতম পর্যায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।

বিএনপি বলছে ২০০১ সালে বিএনপি নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ফাইবার অপটিক সাবমেরিন কেবল সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন ইনফরমেশন হাইওয়েতে পৌঁছে গেছে।

বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের ২০০১ সালে দায়িত্ব গ্রহণের সময়ে মোবাইল ফোনের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০ লাখ। ২০০৬ সালের শেষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় তিন কোটি।

পরিবেশ রক্ষায় বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকার তাদের শাসন আমলে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার এবং দুই স্ট্রোক বেবিট্যাক্সি নিষিদ্ধকরণ, সারা দেশে বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সফল হয়েছিল।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী শ্রমিকদের বিশাল অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে বিগত বিএনপি সরকার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠন করে এবং বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহ যাতে প্রবাসীদের কল্যাণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করে, তার নিশ্চয়তা বিধানের প্রচেষ্টা নেয়া হয়।

যুদ্ধাহত ও দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা, দরিদ্র ও নিঃস্ব নারী-পুরুষ-শিশু এবং অসহায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পর্যায়ক্রমে একটি কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গভীরতর করা এবং সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিষ্ঠার সাথে রক্ষার নীতিতে অবিচল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সকল অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করা হয়।

অনগ্রসর পাহাড়ি ও উপজাতীয় জনগণের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রক্ষা, চাকুরী ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল সুবিধা সম্প্রসারণ এবং পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা হয়।

যদিও বিএনপির এসব দাবির অনেক কিছুর সাথেই একমত নন অনেকেই।

বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন মুক্তিযুদ্ধ ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং নারী আসন বাড়ানোর পাশাপাশি সব সেক্টরেই তারা কাজ করার চেষ্টা করেছেন।

তিনি বলেন, “বিএনপির আমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাতের কোঠায় পৌঁছেছিলো সরকারী নীতির কারণে। কৃষিখাতে বৈপ্লবিক উন্নতি এসেছিলো। প্রবাসী কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় হয়েছিলো”।

কিন্তু নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করারও ঘোষণা দিয়েছিলো বিএনপি যা নিয়ে আঠার বছর পর এখনো বিতর্ক চলছে। আবার দুর্নীতি দমনে স্বাধীন কমিশনের পাশাপাশি ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী এমপিদের সম্পদের হিসেব প্রকাশের কথা বলা হয়েছিলো যা আদৌ করা হয়নি।

আবার অঙ্গীকার ছিলো রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনারও।

মিস্টার আলমগীর এসবের অনেক কিছু না হওয়ার জন্য বিএনপির সরকারের ব্যর্থতার চেয়ে বেশী দায়ী করেছেন দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকেই।

সাফল্যের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা আছে?

দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা করলেও তা কার্যকর না করা, বরং ব্যাপক দুর্নীতি এবং হাওয়া ভবনের নামে নানা ধরণের অভিযোগ, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ নিয়ে নির্বাহী বিভাগের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত একদশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচিত বিষয়।

গবেষক ড: খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন কিছু ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিলেও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো যথাযথ বাস্তবায়নের নজির তারা তৈরি করতে পারেনি।

তিনি বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন হয়েছিলো কিন্তু তার কাঠামো এমন ছিলো যে তা কখনোই কার্যকর হতে পারেনি”।

এসব বিষয়ের বাইরেও জেলা পর্যায়ে বিশেষ আদালত, ইসলামবিরোধী আইন না করা, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ, আইটি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া, ইন্টারনেট ভিলেজ প্রতিষ্ঠা, স্থায়ী পে কমিশন করা, সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার মতো প্রতিশ্রুতিও ছিলো বিএনপির।

কিন্তু এগুলোর কোনগুলো তারা বাস্তবায়ন করেছে সেটি সম্পর্কে দলটির পক্ষ থেকেও সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়না।

বরং বিদ্যুৎ সংকটের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যর্থতার জন্য প্রতিপক্ষের সমালোচনা নিয়মিতই শুনতে হচ্ছে এ দলটিকে।

ইশতেহারের গুরুত্ব আছে দলের মধ্যে?

তাহলে কি ইশতেহার বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্বই দেয়নি তখন বিএনপি। কিংবা ক্ষমতায় থাকার সময় দলের অভ্যন্তরে এ নিয়ে কখনো কোনো আলোচনা হয়েছে?

জবাবে বিএনপির তখনকার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রেহানা আক্তার রানুর বলছেন এমপিদের সভায় অনেক সময় বিষয়গুলো উঠতো এবং প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষনিক অনেক নির্দেশও দিতেন এগুলো বাস্তবায়নে”।

তবে দলটির কর্মীরা অনেকে মনে করেন সরকার সব হয়তো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কিন্তু একটি চেষ্টা তাদের ছিলো।

রেহানা আক্তার রানুসহ কর্মীদের মতামতের সাথে একমত নন বিএনপি চেয়ারপার্সনের এক সময়ের উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলছেন দলগুলো ইশতেহারকে কখনোই তেমন গুরুত্ব দেয়না এবং বিএনপির অভ্যন্তরেও এসব বিষয়ে কখনো কোনো আলোচনা হয়না।

আর সে কারণেই ক্ষমতায় থেকেও ইশতেহার বাস্তবায়নে খুব একটা সাফল্য আসেনি বলেই মনে করছেন তিনি।

মিস্টার আহমেদ বলছেন ইশতেহার বাস্তবায়ন প্রসঙ্গ তো বটেই ইশতেহার তৈরির সময়েও এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনার চর্চা বাংলাদেশে এখনো তৈরি হয়নি এবং বিএনপিও তার বাইরে নয়। আর সেকারণেই দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে ধারণাও খুব একটা বেশি নেই বলে মনে করেন তিনি। -বিবিসি বাংলা