বিক্রি হলো টাইটানিকের মৃত যাত্রীর লেখা চিঠি

আজ থেকে ১০৫ বছর আগে পৃথিবীর তৎকালীন বৃহত্তম জাহাজটি যখন বহু যাত্রীসহ জলের গভীরে তলিয়ে গিয়েছিল, তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার সঙ্গে চিরকালের মতো হারিয়ে ছিল বহু জিনিস।

আজ শতাধিক বছর পরেও হয়তো সেগুলির মধ্যে অনেক কিছু একই ভাবে সমুদ্রের তলায় রয়ে গিয়েছে। অর্থের বিচারে জিনিসগুলি হয়তো সেকালে নেহাত মামুলি ছিল। কিন্তু এখন তার মধ্যে থেকে যদি হঠাৎ কিছু উদ্ধার হয় এবং তার সঙ্গে টাইটানিকের যোগসূত্র রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়, তার দাম যে আকাশছোঁয়া হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

ঠিক এমনই একটি জিনিস সম্প্রতি বিক্রি হল অবিশ্বাস্য দামে, যার সঙ্গে টাইটানিকের যোগসূত্র রয়েছে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডুবে যাওয়া টাইটানিকের এক যাত্রীর পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিঠি গতকাল লন্ডনে বিক্রি হল ১৬৬ হাজার ডলারে।

চিঠিটি লিখেছিলেন জাহাজের প্রথম শ্রেণির যাত্রী আলেকজান্ডার অস্কার হলভারসন। চিঠিটি মায়ের উদ্দেশে লিখেছিলেন আলেকজান্ডার। তাতে প্রাসাদসম জাহাজ সম্পর্কে মুগ্ধতা ছিল, ছিল খাবার আর গানবাজনার প্রশংসা।

বরফের চাঁইতে ধাক্কা লাগার আগে তিনি লেখেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার সকালে সস্ত্রীক নিউ ইয়র্কে পৌঁছে যাবেন তিনি।

আমেরিকার মিনেসোটার সেলসম্যান ছিলেন আলেকজান্ডার। টাইটানিকে চড়েন স্ত্রী মেরি অ্যালিসের সঙ্গে। আলেকজান্ডার মারা গেলেও বেঁচে যান মেরি। তাঁর লেখা ওই চিঠি টাইটানিকের সম্ভবত শেষ স্মারক, যা সমুদ্রে ডুবেও শেষ হয়ে যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।