বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির চূড়ান্ত খসড়া সুপ্রিম কোর্টে

বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত খসড়া (ফাইনাল ড্রাফট) তৈরি করে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার বিচারকদের ৩৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আনিসুল হক বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট নিয়ে আমি এতটুকু বলতে পারি, গত বৃহস্পতিবার আমরা বসেছিলাম এবং এ ব্যাপারে যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তাতে আমাদের যে ক্ষুদ্র মতভেদ ছিল সেটা দূর হয়েছে এবং সমাধান হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে যে খসড়ায় একমত হয়েছি সেটার চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং গতকাল সেটা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে যে মুহূর্তে ফিরে আসবে, আমি আইন মন্ত্রণালয় থেকে সেটা মাহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব।

‘বিচার বিভাগে দ্বৈতশাসন চলছে’ সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতির এমন কথা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই দেখবেন যখন এটা (বিধিমালার গেজেট) বের হবে…দ্বৈতশাসন আছে কি-না…এবং দেখেন, উনার এসব কথার প্রত্যেকটার জবাব আমি দিতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, আমি দেব না। আরেকটা কথা হচ্ছে যে, আপনারা দেখেছেন যে, কত দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়েছে, প্রধান বিচারপতি (প্রাক্তন) চলে যাওয়ার পরে। আমার মনে হয় বাকিটুকু আপনারা বুঝে নিতে পারবেন।

এর আগে ১৬ নভেম্বর রাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। ওইদিন বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন,রাষ্ট্রপতির হুকুম পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এ গেজেট প্রকাশ করবো। তিনি অনুমতি দিলে ৩ ডিসেম্বরের আগে গেজেট প্রকাশ করতে পারবো। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমতির অপেক্ষা।

চলতি মাসের ৫ নভেম্বর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে গেজেট প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষের করা চার সপ্তাহের সময়ের আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, আইনমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বসতে চান। শুনানি শেষে গেজেট প্রকাশে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের ৪ সপ্তাহের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত গেজেট প্রকাশের সময় বাড়ান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা।