বিজয় উদযাপনে বিএনপির বর্ণিল শোভাযাত্রা

বিজয় দিবস উদযাপনে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। এই আয়োজনে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশ অংশ নেন কয়েক হাজার কর্মী ও সমর্থক।

বিজয় দিবসের পরদিন রবিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় থেকে এই মিছিল বের হয়। শান্তিনগরে গিয়ে শেষ হয় এই শোভাযাত্রা। এর আগে সেখানে হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।

বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে মিছিল শুরু হলেও বেলা একটা থেকেই নয়াপল্টনের সড়কে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা নানা সাজে অংশ নেন। কেউ আসেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দুই রঙ লাল সবুজ পোশাকে, কেউ আসেন মুক্তিযোদ্ধা সেজে। কারও হাতে ছিল বাদ্যযন্ত্র, কেউ বা এসেছেন ঘোড়ার গাড়িতে করে।

লাল সবুজ পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন যাত্রাবাড়ীর সাদেকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি করি, বিএনপিকে ভালোবাসি, বাংলাদেকেও ভালোবাসি। তাই তাই বিজয় র‌্যালিতে এভাভে লাল সবুজে সাজে এসেছি।’

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। তাদের অভিযোগ, সরকার বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টা করছে।

বাড্ডা থেকে আসেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের সবাই বিএনপি করে। আমার রক্তে বিএনপি, বিএনপির জন্য আমি সব কিছু করতে পারি। এতোদিন আমরা বঞ্চিত হয়েছি। এবার যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তবে আমাদের দল অবশ্যই জিতবে।’

শোভাযাত্রা শুরুর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পুরণ হয়নি। তিনি বলেন, ‘এখনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের ছেলেদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। গুম করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।’

বর্তমান সরকার মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।

সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়ার চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও একের পর এক মামলা দেয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের জেলে দেয়া হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।