বিজয় দিবসে ডিমলায় কনে দেখার অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে আহত- ৫

হামিদা আক্তার, নীলফামারী থেকে : বিজয় দিবসে নীলফামারীর ডিমলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কনে দেখার অনুষ্টানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ রুপ নেয়ায় কনে পক্ষের অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ী গ্রামের জনৈক্য মকছেদুল ইসলামের কন্যার বিবাহের আলাপ আলোচনা চলতে থাকাবস্তায় প্রতিবেশী লিটন ও তার পক্ষীয় লোকজন পূর্ব শত্রæতার জেরে কনের বিয়ে ভেঁঙ্গে দেয়ার উদ্দেশ্যে মকছেদুলের বাড়ীতে এসে বিভিন্ন ধরনের উস্কানী মূলক কথাবার্তা বলতে থাকে লিটন ও তার আত্বীয় স্বজনেরা। এ সময় মকছেদুল ও তারা ভগ্নীপতি মমিনুর তাদেরকে সাবলীল ভাবে বাঁধা নিষেধ করায় লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে কনে দেখতে আসা লোকজনকেসহ মকছেদুলের বাড়ীর লোকজনকে দেশীয় অস্ত্রে আঘাত করায় অন্তত ৫ জন আশংকা জনক অবস্থায় গুরুতর আহত হলে তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ডিমলা হাসাপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। আহতদের অবস্থার অবনতি হতে থাকলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে আশঙ্গাজনক অবস্থায় আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে মকছেদুলের পরিবার জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মকছেদুল বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন ডিমলা থানায় আশরাফুল ইসলাম লিটনকে প্রধান আসামী করে অন্যান্য আরো ১০ জন আসামী দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মকছেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিবাদী লিটনের সাথে আমার শশুড় মোফাজ্জল হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিলো। সেই বিরোধের জেরেই আমার কন্যার বিয়ে ভাঙ্গানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকে লিটন। ঘটনার দিন লিটনই আগ বাড়িয়ে এসে ঝগড়া লাগিয়ে এ সংঘর্ষ বাঁধায়। আমি বিচার প্রার্থী হয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ডিমলা থানায় অভিযোগ দাখিল করেছি। উক্ত ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ডিমলা থানার এসআই এমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ ফারুক ফিরোজ জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত করেছি। তবে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।