বিজয় সমাবেশে আ’লীগের নেতারা যা বললেন

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জনগণ শেখ হাসিনায় আস্থা রেখেছে। নানামুখি উন্নয়নে জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিয়েছে। মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত ও বাংলাদেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে হবে।’

শনিবার বিকালে ঐতিহিাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে দলের সিনিয়র নেতারা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

টানা তৃতীয় বার আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয় উদযাপনে এ সমাবেশের আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দলটি।

এতে সভাপতিত্ব করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুদৃঢ় করা ও অর্থনৈতিক মুক্তির কাজকে সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ নানা উন্নয়ন কার্মকাণ্ডে আজকে সব গ্রামে সুবাতাস। যার ফলে এই বিজয়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সোনার বাংলা হবে, এ বিশ্বাস নিয়েই মানুষ তাকে ভোট দিয়েছে। আমরা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য তোফায়েল আহমদ বলেন, এই নির্বাচনে বাংলার মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করেছেন। সকলে মিলে এই বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যাব, এ্টাই আমাদের অঙ্গীকার।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, নতুন আলোর দিন উপহার দেয়ার জন্য মানুষ এ বিজয় দিয়েছে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষবাষ্প মুছে দেয়ার বিজয়।

দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী প্রমুখ।

দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় সমাবেশের শুরুতে কোরআন তেলায়াত করেন ড. মাওলানা একেএম আব্দুল মজিদ সিরাজী। এর পরই পবিত্র গীতা পাঠ করেন ডক্টর আসিস সরকার। এরপর বাইবেল ও ত্রিপটক পাঠ করে শুনানো হয়।

এর আগেই পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায়।