বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বাংলাদেশের আইন মানতে হবে : এইচ টি ইমাম

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, আমাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অনেক। ১১৮টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে থাকে। তাদের সদস্য সংখ্যা কয়েক লাখ হবে। তারা সারা দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। এর বাইরে যদি বিদেশি পর্যবেক্ষক আহ্বান করতে থাকি তাহলে তাদের দেখাশোনা করতেই তো সিকিউরিটির অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কয়েকটি দাবি-দাওয়া ও প্রস্তাবনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে রোববার সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কনফারেন্স রুমে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিনিধি দল।

বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে নিরুৎসাহিত করছে কি-না জানতে চাইলে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘না নিরুৎসাহিত করছি না। আমরাই বলেছি বিদেশিরা আসতে পারে। কিন্তু তারা মাঝেমধ্যে এমনভাবে আসে, সাংবাদিক হিসেবে এসে বলেন আমি পর্যবেক্ষক। এ ধরনের হবে না। আচরণবিধি ও আইন মেনে চলতে হবে। যেই আসবে বাংলাদেশের আইন মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধিমালায় সুস্পষ্ট আছে, স্থানীয় এনজিও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করলে কী কী করবে আর বিদেশিরা পর্যবেক্ষণ করলে কী কী করবে। নির্বাচনে এসব যেন সকলে মেনে চলেন এবং খুব শক্তভাবে পরিচালনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর এ রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আমরা বেশ ক’দিন ধরে লক্ষ্য করছি, রাষ্ট্রযন্ত্র সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন দিক থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধা করা উচিত। যদি সত্যি সত্যি আমরা নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে চাই, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া দরকার তাহলে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে এবং করতে পারবে। এক্ষেত্রে মিডিয়ার একটা দায়িত্ব আছে।

এবারের নির্বাচনে একটা অভূতপূর্ব বিষয় হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তার সরকারের সময়েই সম্পূর্ণ থেকেই এমন কোনো দল নেই যে অংশগ্রহণ নিচ্ছে না। এমন অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সেখানে প্রত্যেকেরই সহযোগিতা, সমর্থন ও সহনশীলতা প্রয়োজন। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দেই না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, নিবন্ধন নেই লোকাল টিভি গজিয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে সচেতন হওয়া দরকার। যাতে করে কেউ অপপ্রচার চালাতে না পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল ফারুক খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হক চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মশিউর রহমান, রাশেদুল হক, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাউসার, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, তানভীর ইমাম, এনামুল হক চৌধুরী, ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।