বিদ্যুতের দাম আরও বেশি হওয়া উচিত : প্রতিমন্ত্রী

যে দামে বিদ্যুৎ বিক্রি হয়, উৎপাদন খরচ তার চেয়ে অনেক বেশি জানিয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তিনি মনে করেন উৎপাদন খরচের দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করা উচিত।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ জন্য সময় লাগবে।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম মূল্যে খুচরা পর্যায়ে গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্যারিফ ঘাটতির জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।’

বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য বিদ্যুতের মূল্যহার ব্যয়ভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

গত ডিসেম্বরে বিদ্যুতের দাম ৫.৩ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়টি উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্রাহকগণ যে মূল্য পরিশোধ করছে তা ব্যয়ভিত্তিক নয়। বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিগুলো আর্থিক লোকসান দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায় যাচাই বাচাই শেষে গ্রাহকদের আর্থিক সক্ষমতা বিচার করে গত ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

‘বিদ্যুতের মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান মূল্যহার হ্রাস বা বৃদ্ধি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হয়। কমিশন স্বতন্ত্র ও পেশাদারিত্ব নিয়ে এই কাজ করে থাকে। অহেতুক বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে গ্রাহকের কষ্ট দেয়া সরকারের উদ্দেশ্য নয়।’

জাতীয় পার্টির সদস্য সেলিম উদ্দিন শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন কবে হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুততার সাথেই এ কাজটি সম্পন্নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ কবে দেয়া যাবে- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি বলা কঠিন। তবে সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, সেই পর্যায় নিয়ে যেতে সরকারকে ২০৪১ সালে ৬১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। আর সে লক্ষ্য নিয়েই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।