বিপদ বাড়ছে তিস্তার পানিতে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট জেলার ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার আটটি ইউনিয়নে তিস্তা নদীর পানি প্রবেশ করে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী, ছয়আনী, নিজ গড্ডিমারী, সানিয়াজানের নিজ শেখ সুন্দুর, পাড়শেখ সুন্দর, বাঘের চর, জিঞ্জির পাড়া, ঠাংঝাড়া, সিংঙ্গীমারীর, ধুবনী, চর ধুবনী, উত্তর ধুবনি, সিন্দুর্না, চর সিন্দুনা, হলদিবাড়ি, ডাউয়াবাড়ির ইউনিয়নের, বিছন দই, উত্তর ডাউয়াবাড়ি এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলার সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নের উত্তর ধুবনী গ্রামের একটি রাস্তা ভেঙে গিয়ে তিস্তা নদীর পানি কয়েকটি গ্রামে প্রবেশ করে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে বন্ধ রয়েছে চরাঞ্চলের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বন্যার্তদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ও ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এসব ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।

হাতীবান্ধার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে সোমবার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ এনামুল কবির জানান, পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে এক লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের শুকনা খাবারসহ ৪ মেট্রিক টন ত্রাণের চাল বিতরণের প্রস্তুতি চলছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান জাগো নিউজকে বলেন, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দুই থেকে তিন হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠে এসেছে। পানি নামতেও শুরু করেছে।