বিমানবন্দরে কাদের-ফখরুলের সাক্ষাতে যে কথা হলো

‘একই ফ্লাইটে রংপুর যাচ্ছেন কাদের-ফখরুল’ এমন খবর শনিবার ব্যাপক সাড়া ফেলে গণমাধ্যমে। তবে হঠাৎ জানা যায়, নির্ধারিত ফ্লাইটে ফখরুল ইসলাম আলমগীর যাচ্ছেন না। শেষ পর্যন্ত একই ফ্লাইটে দেশের প্রধান দুটি দলের সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিব না গেলেও বিমানবন্দরে দুইজনের দেখা হয়েছে এবং কথাও হয়েছে।

রবিবার সকাল আটটার ফ্লাইটে দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সৈয়দপুরে যান ওবায়দুল কাদের। মির্জা ফখরুল যান দুপুরের ফ্লাইটে। এরইমধ্যে রংপুরে দলীয় কর্মসূচি শেষ করে ঢাকায় ফিরতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। একই সময় মির্জা ফখরুল তার দলের নেতাদের নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের অতিথি কক্ষে।

সেখানেই দেখা হয় দুই দলের শীর্ষ দুই নেতার। দুই মেরুর রাজনীতি করলেও সাক্ষাতে তাদের মধ্যে আন্তরিকতার সঙ্গে কুশল বিনিময় হয় বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে থাকা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের ও মির্জা ফখরুল ইসলামের দেখা হয়েছে। কুশল বিনিময়ও হয়েছে। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।’

জানা গেছে, দুপুরে সৈয়দপুর থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন ওবায়দুল কাদের। পাশের আরেকটি কক্ষে মির্জা ফখরুল আছেন জেনে তার সঙ্গে দেখা করতে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ফখরুলের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা এয়ারপোর্টে আপনার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু শুনলাম আপনি আসছেন না। একসঙ্গে এলে ভালো হতো। কথা বলা যেত।’

মির্জা ফখরুলকে দেখে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু রাজনীতি করি, তাই আলাপ-আলোচনার পথ খোলা রাখাই ভালো।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন কথার জবাবে ফখরুল বলেন, তিনি সকালের ফ্লাইটেই আসতেন। কিন্তু পারিবারিক ঝামেলার কারণে একটু পরে আসতে হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের এমন আচারণে মুগ্ধ হয়ে ফখরুল বলেন, ‘আপনি জেন্টলমেন্টের পরিচয় দিয়েছেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান জানান, বিমানবন্দরে দুই নেতার মধ্যে কুশল বিনিময় হয়েছে।

তবে এর আগে রংপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে এক শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একই বিমানে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আসতে পারলে আমার ভালো লাগতো। আর কিছু না হোক, শুভেচ্ছা বিনিময় তো হতো। শুনেছি উনার আসন আমার পেছনে ছিল। উনি এলে আমার পাশের সিটেই বসতে দিতাম।’

ফখরুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে মির্জা ফখরুল কর্মসূচি বাতিল করেছেন। শুনেছি, উনি নাকি আমার পরের ফ্লাইটে এসেছেন।’

এদিকে একটি অনুষ্ঠানে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, একই দিনে বড় দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ের দুই নেতা একই এলাকায় গেলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে। এজন্য তিনি আজকের রংপুর সফর বাতিল করেছেন।