বিমানে যে কারণে মানুষ ভুলভাবে অক্সিজেন মাস্ক পরেন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সে মাঝ-আকাশে দুর্ঘটনায় পড়ার পর বিমানের ভেতরকার একটি ছবিতে দেখা যায়, যাত্রীদের প্রায় সকলেই ভুলভাবে অক্সিজেন মাস্ক পরে রয়েছেন।

এরপর এ নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, মানুষ কেনো ভুলভাবে অক্সিজেন মাস্ক পরেন?

সাবেক একজন ব্রিটিশ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ববি ল্যরি বলছেন, বিমান ভ্রমণের সময় যাত্রীরা প্রায় কেউই ভ্রমনকালীন সময়ের নির্দেশনাগুলো ঠিক মত শোনেন না।-খবর বিবিসি অনলাইনের।

বিমান আকাশে ওড়ার পরপরই ক্রুরা ইন-ফ্লাইট ডেমনস্ট্রেশন অর্থাৎ ভ্রমনকালীন সময়ে করনীয় সম্পর্কে যেসব ব্যাখ্যা দেন, তা প্রায় কেউই মন দিয়ে শোনেন না। বিপদ আসার আশঙ্কা কেউ পাত্তাই দিতে চাননা।

কিন্তু জরুরি মুহূর্তে যাত্রীদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা না গেলে অক্সিজেনের অভাবে একজন মানুষের মৃত্যুও ঘটতে পারে। এছাড়া রয়েছে ভুলভাবে অক্সিজেন মাস্ক পরা।

কীভাবে অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। শুরুতে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হাত নেড়ে তা বুঝিয়ে দেন।

এরপর যাত্রীদের সিট পকেটে রাখা সেফটি কার্ডেও লেখা থাক নির্দেশনা। যে ব্যাগটির ভেতরে মাস্ক থাকে তার গায়েও লেখা থাকে নির্দেশনা। এগুলো খেয়াল করতে হবে।

এজন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দেন ল্যরি। প্রথমেই দেখতে হবে অক্সিজেন মাস্কটি যেন মুখ ও নাকের পুরোটা ঢেকে দিতে পারে।

এরপর মাস্কের সঙ্গে লাগানো প্লাস্টিকের ব্যান্ডটি মাথার পেছনে টেনে দিতে হবে, যাতে সেটি মাস্কটিকে মুখের সঙ্গে আটকে রাখতে পারে।

কোন কারণে মাস্কটি অকার্যকর মনে হলে ঘাবড়ে না গিয়ে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে জানাতে হবে।

প্রয়োজনে পাশের যাত্রীর সঙ্গেও ভাগাভাগি করে নেবার মানসিকতা থাকতে হবে।

তবে ল্যরি তার অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত কীভাবে মাস্কটি পরবেন, তা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে এক ধরণের তাড়াহুড়া শুরু হয়ে যায়।

তাছাড়া আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় অনেকেই নার্ভাস হয়ে পড়েন।

অনেকেই হয়তো একযোগে অভিযোগ জানান, যে কেনো বিষয়টি তাকে আগে জানানো হলো না।

কিন্তু সাধারণত ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে তর্ক করেন না।

হাসিমুখে বলেন, আমরা জানাতে চেষ্টা করেছিলাম, এখন দয়া করে আপনারা নিজের আসনে ফিরে যান।