বিমান বিধ্বস্ত : ব্যর্থতা যারই হোক নিহতরা বীমার টাকা পাবেন

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বীমা দাবির টাকা পরিশোদের প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স।

বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শফিক শামিম বলেছেন, বিমান বিধ্বস্তের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে ইতিমধ্যে সার্ভেয়ার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সার্ভে রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, দাবি নিষ্পত্তির কাজে আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের দুটি লস এডজাস্টার দল (সার্ভে টিম) ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পেলেই বোঝা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সে অনুসারে দাবি পরিশোধ করা হবে। তবে আমরা আশা করছি এক মাসের মধ্যেই দাবি পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব।

তিনি জানান, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের দুর্ঘটনা কবলিত বিএস ২১১ ফ্লাইটের জন্য কমপ্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ নেয়া হয়েছে। মোট লায়াবিলিটি ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্লেনের জন্য কাভারেজ ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বিমানের টিকিট কাটলেই যাত্রীরা বীমার আওতায় চলে আসে।

বীমা দাবি হিসাবে নিহতরা কি পরিমাণ টাকা পাবেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তো এখনই বলা সম্ভব না। এটা নির্ভর করছে সার্ভে রিপোর্টের ওপর। সার্ভে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বীমা দাবির টাকা নির্ধারণ করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, আমরা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং পুনঃবীমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সার্ভেয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে। হালের (প্লেন) সার্ভে রিপোর্ট আমরা দ্রুত পেয়ে যাবো বলে আশা করছি। তবে নিহত-আহতদের পরিচয় সনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত, তাদের বীমা দাবির প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। সেই জন্য আমরা আশা করছি পুরোপুরি সম্ভব না হলেও এক মাসের মধ্যে দাবি পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবো।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আইডিআরএ’র সদস্য গোকুল চাঁদ দাস বলেন, ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্ততের বিষয়ে আমরা সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে যতদ্রুত সম্ভব দাবি পরিশোধ করবে। তবে আমরা তাদের দাবি পরিশোধের বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি।

নিহতদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে কী? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সার্ভে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ক্ষতি নির্ধারণ করা সম্ভব না। আর আমাদের কাছে এখনো এই বীমা পলিসির ডকুমেন্ট আসেনি। সুতরাং পলিসিতে কী আছে তা আমাদের জানা নেই। কে কেমন ক্ষতিপূরণ পাবে তা পলিসির শর্ত না দেখা বলা সম্ভব না। তবে যার ব্যর্থতার কারণেই বিমান দুর্ঘটনা হোক, নিহতরা বীমা দাবির টাকা পাবেন। তবে কতো টাকা পাবেন তা সার্ভে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব না।

বিষয়টি নিয়ে ইউএস বাংলার জিএম কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ করতে তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব না।সৌজন্যে : জাগো নিউজ