বিশ্বকাপের খেলায় মনোযোগ দাও, সাকিবকে প্রধানমন্ত্রী

অনেকটা আকস্মিকভাবে শনিবার(১০ নভেম্বর) দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে জানানো হয় রোববার( ১১ নভেম্বর) জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই তারকা খেলোয়াড় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন। সাকিব মাগুরা থেকে এবং মাশরাফি নড়াইল থেকে এ মনোনয়ন ফরম কিনবেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হয়।

যদিও পরে রাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সময় সংবাদকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন সাকিব নিজেই।

এদিকে, রোববার বেলা ১১টার দিকে ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন না করে খেলায় মনোযোগ দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সাকিব আল হাসানকে বলেছেন, আগামী বছর বিশ্বকাপ আছে, সেই বিশ্বকাপের খেলায় বেশি মনোযোগ দাও।’

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কেনার কথা রয়েছে জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার।

যদিও মাশরাফি ও সাকিব আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কিছুই জানাননি। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় সরব হয়ে উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গন। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব।

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সাকিব-মাশরাফি দুজনই কাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন। তাঁদের দুজনকেই সাক্ষাতের জন্য যেতে বলা হয়েছে।’

কিছুদিন আগে থেকেই মাশরাফি ও সাকিবের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সামনে এনেছিলেন।

তাদের দুজনেরই যেহেতু ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের কথা রয়েছে তাই নির্বাচনে অংশ নিলে কোনো সমস্যা হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে চলতি বছরের মে মাসে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, খেললে সমস্যা কী? আমিও নির্বাচন করি, আবার ক্রিকেটের সঙ্গে আছি।