বিশ্বকাপে চমকে দিতে পারে মিশর

আগামী বছরের জুন-জুলাই রাশিয়ায় বসবে ফিফা বিশ্বকাপের ২১তম আসর। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপে অনুষ্ঠিত হবে ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ। ইতোমধ্যে ৩২টি দল হাতে পেয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট। যার মধ্যে আছে মিশরের নাম। দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বমঞ্চে উঠে অঘটনের জন্ম দিতে পারে পিরামিডের এই দেশটি।

মিশরের বিশ্বকাপ ইতিহাস

এর আগে দুইবার বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পায় মিশর। ১৯৩৪ সালের ইতালি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে হাঙ্গেরিকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দেয় পিরামিডের দেশটি। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপে সেই ইতালির মাটিতেই চমক দেখায় মিশর। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ডকে জিততে দেয়নি দলটি। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে পরাজিত হয় মিশর।

বর্তমান দল কেমন

সর্বশেষ ২০১০ সালের ‘আফ্রিকা কাপ অব নেশনস’ শিরোপা জিতেছে মিশর। যেটা ছিল মিশরের সপ্তম নেশনস কাপ শিরোপা। একই বছর বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পার হতে পারেনি মিশর। আলজেরিয়ার কাছে প্লে-অফ পরীক্ষায় ফেল করে বিশ্বকাপ স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যায় তাদের। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের মূল মঞ্চেও উঠতে পারেনি মিশর। বাছাইপর্বে ঘানার কাছে খুব বাজেভাবে হেরে বিদায় নেয় দলটি। মাঝে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যার প্রভাব পড়ে দেশটির ফুটবলঅঙ্গনে। যেটা অনেক পিছিয়ে দেয় মিশরকে। যাহোক শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে নাম লেখাল মিশর। আলেকজান্দ্রিয়ার বুর্গ আল আরব স্টেডিয়ামে কঙ্গোকে ২-১ গোলে হারিয়ে রাশিয়ার টিকিট কাটে আফ্রিকার এই দল। বর্তমানে তাদের দলে একাধিক তারকা খেলোয়াড় আছে। যারা মিশরের বিভিন্ন লিগে দাপিয়ে বেড়ান। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে নজরে থাকবেন মিশরের কয়েকজন ফুটবলার। এরা হলেন-সালাহ, সাঈদ, আহমদ হাসান ও মাহমুদ।

প্রধান কোচ

২০১৫ সালে মিশরের কোচের দায়িত্ব পান হেক্টর কুপার। কোচিং ক্যারিয়ারে ভ্যালেন্সিয়া, ইন্টার মিলান, রিয়াল বেতিসের মতো ক্লাবে কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে জর্জিয়ার ফুটবলকে নতুন মাত্রা দেন হেক্টর।