বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ছাত্রলীগ নেত্রী এশা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন ও এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেত্রী ইফফাত আরা এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এশাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেন। এর আগে তিনি এশাকে হল থেকে বহিষ্কারের আদেশ দেন।

এদিকে একইসাথে তাকে সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, সন্ধ্যায় হলের ছাত্রীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিতে গেলে এশার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে বাধা দেয়। পরে আন্দোলন থেকে ফিরে আসলে তাদেরকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত করে। এক পর্যায়ে এশা নিজ হাতে মোরশেদা বেগম নামের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয় বলে অভিযোগ করে হলের ছাত্রীরা। হলের সিঁড়ি ও মেঝেতে রক্তের ফোঁটা দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, গতকালও আন্দোলন থেকে ফেরত ছাত্রীদেরকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেন এশা। গতকাল সেটি ভয়ে কেউ স্বীকার করতে চায়নি। আজকেও একইভাবে সে ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালালে হলের ছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে ওঠে।

এদিকে ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে সুফিয়া কামাল হল সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ছাত্রদের হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সুফিয়া কামাল হলের সামনে জড়ো হয়। এদিকে জিয়াউর রহমান হল সহ কয়েকটি হলে ছাত্রদের বের হতে বাধা দিলে এক পর্যায়ের গেইটের তালা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে ছাত্ররা।

সর্বশেষ পরিস্থিতিতে জানা যায়, ঢাবির পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। টিএসসি, শহিদ মিনার সহ কয়েকটি জায়গায় ছাত্ররা বিক্ষোভ ও মিছিল করছে। এদিকে ছাত্রী হলের নিরাপত্তায় পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে বলে জানা গেছে।