‘বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক ডি গিয়া’

এই সময়ের সেরা গোলরক্ষক কে? জার্মান বুন্দেসলিগায় ম্যানুয়েল নয়্যার, লা লিগায় মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন, ইতালিয়ান সিরি ‘আ’তে জিয়ানলুইজি বুফন আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ডেভিড ডি গিয়া; এঁদের মধ্য থেকেই সেরা বাছতে হবে। তবে নিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দিয়েই নিজেকে সেরা দাবি করতে পারেন ডি গিয়া। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ হোসে মরিনহো যে বিশ্বসেরার স্বীকৃতিই দিচ্ছেন এই স্প্যানিশ গোলরক্ষককে।

গত রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জয়ে বড় ভূমিকা ডি গিয়ার। পুরো ম্যাচে তিনি সরাসরি ১৪টি শট বাঁচিয়েছেন। শেষ ১৪ বছরে কোনো ম্যাচে এতগুলো শট কোনো গোলরক্ষকই বাঁচাননি।

পুরো ম্যাচে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিয়েও জয় পাওয়া হয়নি সানচেজ-ওজিলদের। প্রথমার্ধেই গোটা বিশেক শত নিয়েছে আর্সেনাল, তবু গোল পাওয়া হয়নি। এর দু-একটি ডি গিয়ার দিকে গেলে রেকর্ডটা আরও পোক্ত হতে পারত তাঁর। ২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে গোল বাঁচানোর পরিসংখ্যান রাখা শুরু হয়। এর আগে ম্যাচে ১৪টি সেভ করেছিলেন দুই সাবেক গোলরক্ষক, নিউক্যাসেলের টিম ক্রুল ও আর্সেনালের ভিটো মানোনে।

চিরাচরিত রক্ষণাত্মক, মানে সেই ‘বাস পার্কিং’ কৌশলেই খেলেছে মরিনহোর দল। ম্যাচের ১১ মিনিটেই দুই গোল খেয়ে বসে স্বাগতিক আর্সেনাল, গোল করেছেন আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া ও হেসে লিনগার্ড। প্রতি-আক্রমণে বরাবরই নড়বড়ে মনে হয়েছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যদের। বিরতির পর ফরাসি ফরোয়ার্ড অ্যালেক্সান্দ্রে লাকাজেতের গোলে ম্যাচে ফিরেছিল গানাররা। কিন্তু লিনগার্ড আবারও গোল করে ইউনাইটেডকে দুই গোল ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ম্যাচজুড়ে ৩৩টি শট নিয়েছে আর্সেনাল। ৭৬ শতাংশ সময়জুড়ে বল রেখেছে নিজেদের পায়ে। কিন্তু দিন শেষে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ডি গিয়া। সে জন্যই তাঁকে ম্যাচ জয়ের নায়ক বলা।

কোচ মরিনহো তাই প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি, ‘আজ আমার দলে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকটি খেলেছে।’ তবে তাঁকে দুশ্চিন্তায় রাখবে পল পগবার লাল কার্ড। আর্সেনাল উইং ব্যাক হেক্টর বেয়েরিনকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখছেন সাবেক জুভেন্টাস মিডফিল্ডার, নিষিদ্ধ হয়েছেন তিন ম্যাচের জন্য। যার কারণে আসছে রবিবার পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে ছাড়াই খেলতে হবে রেড ডেভিলদের। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় লাল কার্ডের ঘটনা। প্রথমটি এসেছিল জুভেন্টাসে থাকাকালীন, পালের্মোর বিপক্ষে সিরি ‘আ’র ম্যাচে। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বর স্থান ধরে রাখল ইউনাইটেড, পাঁচে নেমেছে ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল।