‘বিশ্বে মুসলমানরাই ঘৃণামূলক সম্মোধনের শিকার হচ্ছেন’

ফিলিস্তিন ও জেরুজালেম সংকট নিরসনে বিশ্ববাসীকে আরও সংবেদনশীল ও মনোযোগ দিয়ে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিযেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় রাষ্ট্রদূতদের সম্মানে ক্ষমতাসীন দল একে পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তৃতাকালে এরদোগান এ আহ্বান জানান। খবর ডেইলি সাবাহ আরবি।

এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিন ও জেরুজালেম সংকট সমাধানে আমি বিশ্ববাসীকে গুরুত্বের সঙ্গে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিশ্বের নানাপ্রান্তে বিধর্মীদের দ্বারা মুসলমানরা যে কতটা নির্যাতিত এর লম্বা ফিরিস্তি টেনে এরদোগান বলেন, সারাবিশ্বে মুসলমানরাই অন্যায় আচরণ, স্বজনপ্রীতি, বৈষম্য, অসহিষ্ণুতা এবং ঘৃণামূলক সম্মোধনের শিকার হচ্ছেন।

ইসরাইলের সমালোচনা করে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী এ নেতা বলেন, গাজায় তারা প্রতিনিয়ত বোমাবর্ষণ করছে, এমনকি গাজায় অবস্থিত তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির অফিসে হামলা করতেও তারা দ্বিধা করেনি।

এরদোগান জানান, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত শনিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। সাততলা একটি ভবনেই অন্ততপক্ষে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে পুরো ভবনটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দখলদার সৈন্যরা। যেখানে আনাদোলুর অফিস ছিল।

একে পার্টির ইফতারে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের লক্ষ্য করে এরদোগান বলেন, প্রতি বছরের ১৫ মার্চ আমরা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোকে ইসলামফোবিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক গণসংহতি দিবস হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা আপনাদের নিজ নিজ দেশের সম্মতি জানানোর অপেক্ষায় রইলাম।

ইফতার পার্টিতে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লু ছাড়াও আরও অন্যান্য সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও একে পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।