বিষণ্ণতা তাড়াতে কান্না থেরাপি!

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এক অদ্ভুত ব্যবসা করছেন হিরোকি তেরাই। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কান্নার সেবা দিয়ে থাকেন। ১১টি বইয়ের লেখক তেরাই ২০১৫ থেকে এই ব্যবসা করছেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা নারীদের ‘কান্নার খোঁজে’ নামে একটি থেরাপি দিয়ে থাকেন, যা নারীদের বিষণ্নতা রোধে সহায়তা করে।

আর এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি উপার্জন করে। তাদের মতে, কান্নার ফলে যাবতীয় দুঃখ, হতাশা, ক্লান্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নারীরা। অনেক গবেষণার পর তেরাই তার নিজস্ব এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন, যার ফলে তার কাছে আসা গ্রাহকদের কাঁদানো যায়। তেরাইয়ের এই পদ্ধতিটিও মজার।

কাঁদানোর জন্য তিনি বাছাই করেন সুদর্শন পুরুষদের। কারণ সুদর্শন পুরুষদের প্রতি নারীদের আবেগীয় যোগাযোগ দ্রুত হয়। এটা তাদের কাঁদতে সাহায্য করে।

তেরাইয়ের বেশির ভাগ গ্রাহকই বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার নারী। এই কারণেই তেরাই বিশ্বাস করেন, এই থেরাপি মানুষের মনকে গোছাতে এবং পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, ‘বিয়ের জন্য কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেই মানুষটিকে ছাড়া পথ চলতে গিয়ে মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়।’

শুধু তাই নয়, অভিজাত নারীদের কাছেও তেরাই অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘অনেকেরই কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড চাপ থাকে এবং এই হতাশা দূর করার জন্য কোনো সঙ্গী থাকে না। তাহলে কেন কাঁদবেন না? তাই না?’ প্রাপ্তবয়স্কদের কান্না নিয়ে ৩৭টি দেশের মধ্যে করা আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যেই কান্নার হার বেশি।