বিষাক্ত মদপানে ভারতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪

আসাম রাজ্যে বিষাক্ত মদপানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরো ২০০ জন। সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে এই তথ্য জানানো হয়।

শনিবার বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হতাহতরা সবাই চা-বাগানের দরিদ্র শ্রমিক।

এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

রাজ্য বিধানসভার স্থানীয় বিধায়ক মৃনাল শইকিয়া সংবাদসংস্থা থমসন রয়টার্সকে বলেন, ‘বেশকিছু শ্রমিক ওই বিষমদ পান করেছিলেন। খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

রাজ্য পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পার্থ প্রতিম সাইকিয়ার বরাত দিয়ে দিল্লিভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল নিউজএইটটিন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাটের শালমিরা চা বাগানে মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। পরে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হলে একে একে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বাস শর্মা বলেন, ‘প্রতি ১০ মিনিট পর পর বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা এ বিষয়ে খবর পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।’

শালমিরা চা-বাগানের কাছেই জুগিবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে তৈরি দেশীয় মদ কারখানার মালিকসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় গ্লাসপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকায় অবৈধ দেশীয় মদ পাওয়া যায়।

কংগ্রেসের প্রধান রাহুল গান্ধী গতকাল শুক্রবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি আসামের গোলাঘাটে সংঘটিত এ ঘটনায় দুঃখ পেয়েছি। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁরা শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি।’

এর আগেও বিষাক্ত মদ পান করে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে নিহত হয়েছিলেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ। তার দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও আসাম রাজ্যে ঘটল এ ঘটনা।