বিস্ফোরণে নিহত নির্বাচনের প্রার্থী

নির্বাচনী প্রচারণায় বেরিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-এর প্রার্থীসহ চার জন। রবিবার রাতে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে ইস্ট গারো হিলস জেলায় প্রচারণায় বেরিয়েছিলেন এনসিপি প্রার্থী জোনাথন এন. সাংমা। তিনি রাজ্যটির উইলিয়ামনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। প্রচার সেরে ফেরার পথেই সামান্দা নামে একটি জায়াগায় জোনাথনের গাড়ি বহরটি বিস্ফোরকের মধ্যে পড়ে। ঘটনাস্থলেই জোনাথন ও তার গাড়ির চালক এবং দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন।

সোমবার রাজ্যটির সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা রিংর‌্যাং মোমিন জানান, যে গাড়িটিতে জোনাথন সাংমা ছিলেন সেটি বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গাড়িতে থাকা প্রত্যেকেরই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যটিতে কয়েক হাজার গারো উপজাতির বসবাস। তাদের জন্য একটি পৃথক রাজ্যের দাবিতে চারটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে। এই বিস্ফোরণ তাদেরই কাজ বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে এই সহিংসতার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই ভয়ের আবহ তৈরি হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা রিংর‌্যাং মোমিন আরও জানান, এটি ‘সন্ত্রাসবাদী’ গোষ্ঠীগুলির কাজ। কিন্তু করা জড়িত সেটা আমরা এখনও চিহ্নিতকরণ করতে পারিনি।

এ ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস শাসিত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। টুইট করে তিনি জানান, জোনাথন সাংমার অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর খবরে আমি শোকাহত। ওঁর প্রিয়জনের জন্য আমার সমবেদনা রইল। শত্রুরা নিরাপরাধ মানুষদের রক্ত ঝরিয়ে মেঘালয়ের শান্তি নষ্ট করতে পারবে না।

বিজেপিও এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দলের থেকে জানানো হয়েছে, এনসিপি প্রার্থী জোনাথন এন.সাংমাসহ বাকীদের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানাই। নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা সত্যিই খুব উদ্বেগের বিষয়।

রাজ্যটির অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ২০১৩ সালে নির্বাচন চলাকালীন জোনাথন সাংমাকে একবার খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে তাকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।

২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় রাজ্যে ৬০ আসনে বিধানসভার নির্বাচন। ওই দিন পার্শ্ববর্তী নাগাল্যান্ডের ৬০ আসনেও বিধানসভার নির্বাচন।