বিড়াল যেখানে সরকারি কর্মকর্তা!

বিড়ালকে এতদিন ঘরের পোষা প্রাণীর চোখেই দেখা হয়েছে। তবে জর্ডানের ব্রিটিশ দূতাবাস এক্ষেত্রে স্থাপন করলো বিরল এক উদাহরণ। ‘লরেন্স অফ আবদুন’ নামের একটি বিড়ালকে তারা নিয়োগ দিয়েছে নিজেদের কার্যালয়ে!

বিড়ালটির জন্য একটি গালভরা পদের নামও তৈরি করেছে তারা। লরেন্স হলো তাদের ‘চিফ মাইসার’, অর্থাৎ ‘প্রধান ইঁদুর শিকারি’!

লরেন্স নামটি রাখা হয়েছে টমাস এডওয়ার্ড লরেন্সের নাম অনুসারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স আরবের হয়ে অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। তাকে ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ও বলা হতো। এই নামে তৈরি হয়েছে হলিউডের বিখ্যাত একটি সিনেমাও।

জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাস অবস্থিত আম্মানের পার্শ্ববর্তী শহর আবদুনে। সেখান থেকেই ‘আবদুন’ শব্দটি এসেছে। গত মাসে পশু–প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা হয় ‘লরেন্স অব আবদুন’কে।

সরকারি চাকুরে হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিড়ালটির একটি টুইটার অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে সেই টুইটারের ফলোয়ার সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার।

জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসের কূটনীতিক লরা ডাউবান এক টুইটে বলেন, ‘মাউসিং ডিউটি ছাড়াও টুইটারে অনুসরণকারীদের কাছে পৌঁছে গেছে ও। খুবই মজার যে ব্রিটিশ নাগরিকেরা জর্ডানে দেশের দূতাবাসকে এখন একটি অন্য দৃষ্টিতে দেখবে। লরেন্সের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমরা জর্ডানের এমন দিক দেখানোর চেষ্টা করছি, যা সত্যিই ভীষণ ভালো, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ।’

সরকারি কার্যালয়ে বিড়াল নিয়োগের ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয় ব্রিটিশদের জন্য। এর আগে গত বছর ইঁদুরের উৎপাত ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র কার্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় পালমারস্টোন নামের এক বিড়ালকে। এছাড়াও ২০১১ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ইঁদুর মারতে ল্যারি নামের একটি বিড়ালকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সূত্র : রয়টার্স