বিয়ের আগেই স্ত্রী ‘বিবাহিতা’! আদালতের দ্বারস্থ স্বামী

স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এক নারী। স্বামীর পাল্টা অভিযোগ ছিল, বিবাহিতা হয়েও ফের তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ওই নারী।

দু’জনের বিবাদ গড়িয়েছিল আদালতে। নথি খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ওই নারীর অভিযোগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের অবকাশ রয়েছে।

গত ২৮ এপ্রিল গড়ফার বাসিন্দা দীপক দে’র সঙ্গে বিয়ে হয় বাগুইআটির তরুণী মোনাসিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দীপকের অভিযোগ, বিয়ের পরে তিনি জানতে পারেন, সল্টলেকের এক বাসিন্দার সঙ্গে আগেই বিয়ে হয়েছিল মোনালিসার। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেও বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন মোনালিসা। এরপর দীপক ১৯ সেপ্টেম্বর গড়ফা থানায় মোনালিসার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ দায়ের করেন।

দীপকের অভিযোগ, পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন দেয় এমন একটি ওয়েবসাইটে নিজেকে অবিবাহিত হিসাবে দাবি করেছিলেন মোনালিসা। ২৮ অগস্ট বিয়ে বাতিলের আবেদন জানিয়ে আলিপুর আদালতে মামলা করেন দীপক।

পক্ষান্তরে মোনালিসাও বিধাননগর মহিলা থানায় দীপক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন।

যার ভিত্তিতে ১৬ সেপ্টেম্বর দীপক ও তার ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করার পর বিচারক গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাদের জামিন দেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো খারিজের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন দীপক।
এদিন হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওই নারী অভিযোগ নিয়ে সন্দেহপ্রকাশের অবকাশ রয়েছে। সেই কারণে দীপকের বিরুদ্ধে মোনালিসার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতে চলা মামলা আপাতত স্থগিত থাকবে বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

দীপকের আইনজীবী অর্ণব সাহা জানিয়েছেন, দীপক বিয়ে খারিজের জন্য আলিপুর আদালতে আবেদন করেছিলেন। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে তার উপর চাপ দিচ্ছিলেন ওই নারী। কিন্তু দীপক তাতে রাজি ছিলেন না। সেই কারণেই তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এবেলা