বিয়ের সিদ্ধান্তে নিজেকেই করুন ৫ প্রশ্ন

চলে এসেছে বিয়ের মৌসুম। আসলে শীতটাই উৎসবের ঋতু।

তবে বিয়ের জন্যে বছরের পুরো সময়টাই উন্মুক্ত। অবশ্য বিয়ের সিদ্ধান্ত তো আর মৌসুম দেখে নিতে হয় না। এ সিদ্ধান্তের পেছনে থাকে অনেক ধরনের বাস্তবতা। বিয়ে করতে মন চাইলেও, মন চাইলেই বিয়ে করা উচিত নয়। এর জন্যে ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রস্তুতি দরকার। তবে যদি কেউ করতেই চান, তবে তাদের কিছু প্রশ্নের পছন্দসই উত্তর মেলা জরুরি। বলতেই হয়, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে এটা একটা। এ কাজে পা বাড়ানোর আগে অবশ্যই দ্বিতীয়বার ভেবে নেওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা বিয়ের পরিকল্পনা করছেন বা ইচ্ছে হচ্ছে বা ভবিষ্যতে করবেন- এমন মানুষদের জন্যে গুটিকয়েক প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। এদের উত্তর খুঁজুন। বুঝে যাবেন, বিয়েটা এখনই করা যাবে কি না? বিশেষ করে বর্তমান যুগকে বিবেচনায় রেখে এই প্রশ্নগুলো তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

১. সব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে প্রস্তুত আপনি?
এটা আসলেই খুব কঠিন এক বিষয়। কিন্তু সঙ্গী-সঙ্গিনীকে কি আর সব পাসওয়ার্ড দিয়ে দেওয়া যায়? কিন্তু বিয়ের পর বিশ্বস্ততা আনতে দুজনের একজন বা উভয়ই দাবি করে বসতেই পারে। আর সেই বিশ্বস্ততার পরীক্ষায় পাস করতে হবে। না করলেও কিন্তু বিপদ। অশান্তি শুরু হবে। কাজেই বিয়ের আগে আপত্তি উঠতে পারে এমন কোনো সম্পর্ক বা ডিজিটাল সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সততার প্রমাণে সব পাসওয়ার্ড জীবনসঙ্গীকে দেওয়ার সাহস থাকতে হবে।

২. বিরক্তিকর অভ্যাস বা বদভ্যাস এখনও ধরে রেখেছেন?
আপনার নানা কাজে প্রায়ই বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের লোকজন বিরক্ত হয়ে থাকেন? হয়তো পাত্তা দেন না আপনি। কিন্তু অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে থাকলে বুঝতে হবে আপনার মধ্যে একাধিক বদভ্যাস রয়েছে। বিয়ের পর কিন্তু পাত্তা না দিয়ে এসব ধরে রাখলে চলবে না। এ বিষয়কে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। কারণ ছোটখাটো মনে হলেও এগুলো দাম্পত্যজীবনের বড় সমস্যার সৃষ্টি করে।

৩. মায়ের ফোনকল কী তাকে দিতে পারেন?
একটু জটিল বিষয়, তবে প্রশ্নটা ছেলেদের জন্যে প্রযোজ্য হতে পারে। মায়ের ফোনকল আসলেই অধিকাংশ ছেলেদের স্ত্রীর কাছ থেকে একটু দূরে গিয়ে তা রিসিভ করতে দেখা যায়। এখানে বউয়ের সঙ্গে স্বামী আর শাশুড়ির বিস্তার ফারাকের দৃশ্যই ফুটে ওঠে। এটা নিশ্চয়ই সুখী দাম্পত্যজীবনের লক্ষণ নয়। কাজেই বিষয়টি আপনাকেই ঠিক করার মানসিকতা রাখতে হবে। যদি আপনি তেমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তো, বিয়ের চিন্তা করতে সমস্যা নেই।

৪. বিনিময় ছাড়া পয়সা ধার হিসেবে দেওয়া বা এমনিতেই দেওয়ার মানসিকতা আছে?
এটা সবচেয়ে জটিল এক বিষয়। বিয়ের পর অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে চিন্তার। আধুনিক মেয়েরা চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী হন। আবার অনেকেই বিয়ের পর গৃহিনী হিসেবে সংসার করতে চান। তখন স্ত্রীর সব খরচ স্বামীকেই চালাতে হয়। এক হিসেবে চিন্তা করলে, আপনি একজনকে পয়সা দিচ্ছেন, কিন্তু বিনিময়ে কিছু চাইছেন না। এটা অফেরতযোগ্য খরচ। যদি সেই মানসিকতার হন তো সমস্যা নেই।

৫. বাড়ির কাজে হাত লাগাতে প্রস্তুত?
হয়তো সারাদিন শুয়ে-বসে থাকেন। কিংবা দৌড়-ঝাঁপেই দিন কাটে আপনার। যাই করেন না কেন, বাড়ির কাজে হাত লাগানোতে আপনার কোনো ইচ্ছাই নেই। কিন্তু বিয়ের পর সব দায়িত্ব বউয়ের ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না। বাড়ি সামলানো আরো অনেক বেশি ঝক্কির কাজ। তাই অমানবিক হবেন না। ঘরের কিছু কাজের দায়িত্ব হাসিমুখে নিজের কাঁধে নিন।

-টাইমস অব ইন্ডিয়া