বুথফেরত জরিপ নিয়ে মুখ খুললেন প্রিয়াংকা

দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। এমনটাই বলা হয়েছে বুথফেরত জরিপে। এদিকে জরিপের ফল নিয়ে মুখ খুললেন প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র। তিনি বলেছেন, বুথফেরত জরিপ শুধু আপনাদেরকে হতাশ করার জন্য। কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেছেন রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়া প্রিয়াংকা। এবার লোকসভা নির্বাচন শুরুর আগে আগে কংগ্রেসের রাজনীতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন। অনেকেই ভেবেছিলেন তার ক্যারিশমায় কংগ্রেস এ দফায় মসনদে বসতে পারবে।

কিন্তু বুথফেরত জরিপের ফল বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স (এনডিএ) ভূমিধস বিজয় পেতে চলেছে। এমন পূর্বাভাসে গা ভাসাচ্ছে না বিরোধী শিবির। তারা একে গসিপ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কংগ্রেস বলছে, ২৩ মে চমক দেখাবে তারা।

এমন অবস্থায় সোমবার দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য অডিও বার্তা পাঠান প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র। তিনি বলেন, ২৩ মে চূড়ান্ত ভোটের ফল। ওই ফলের আগে তাদেরকে অনুৎসাহিত করতে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তার ফাঁদে যেন তারা পা না দেন।

এনডিটিভিতে প্রচারিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমন নির্দেশনা দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অডিও ক্লিপ প্রচার করেছেন প্রিয়াংকা। তাতে তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের আমার ভাই ও বোন নেতাকর্মীরা। গুজবে কান দেবেন না। বুথফেরত জরিপ আপনাদেরকে অনুৎসাহিত করছে। আপনাদের মনোবলকে ভাঙার জন্যই শুধু এটা করা হচ্ছে। এসব সত্ত্বেও আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে- এটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে স্ট্রং রুম এবং ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রাখুন। আমরা আশাবাদী আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে।

বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী, এনডিএ ৩০০, কংগ্রেস ও বিরোধী জোট পাবে ১২৭ আসন। এরমধ্যে, উত্তর প্রদেশের ৮০ আসনের মধ্যে বিজেপি জোট ৪৪ আসন পাবে। ২০১৪ সালে মাত্র ২টি আসন পেলেও এবারে মায়াবতী-অখিলেশ মেলবন্ধনে কংগ্রেস পাচ্ছে ৩৪টি আসন।

গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভালো করলেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের তিন প্রাণকেন্দ্র মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে জেতা হচ্ছে না কংগ্রেসের।

৯০ কোটি ভোটারের দেশ ভারতে গত ১৯ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সাতটি পর্বে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৩ মে।

তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, বুথফেরত জরিপে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে মোদীর সমর্থকদের। কারণ অতীতে অনেক সময়ই ফল পাল্টে যাওয়ার রেকর্ড হয়েছে।