বৃদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচ বছরের জন্য ভারতের ভিসা পাবেন

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভিসা সহজিকরণের চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক। চুক্তি অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা ও বৃদ্ধদের পাঁচ বছরের জন্য ভিসা দেবে ভারত।

রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা, ভিসা সহজিকরণ ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত তার সার্বিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশের পক্ষে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে ভারত।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সাংবাদিকদেরকে নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমন ও বন্দি বিনিময়ে দুই দেশের সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।

এ ছাড়া বাংলাদেশের বয়স্ক নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাল্টিপল ভিসা সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। ‘রিভাইস ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্টস’ শীর্ষক এই চুক্তির আওতায় যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি তাঁরা আবেদন করলে পাঁচ বছরের ভারতীয় মাল্টিপল ভিসা পাবেন। মুক্তিযোদ্ধারাও এই ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভিসা আরো সহজিকরণের জন্য আজকে একটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বয়স্ক ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তাঁরা সর্বোচ্চ সুবিধা দেবেন।’

বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাজনাথ সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক আন্তরিক। আর শুধু আন্তরিকই না খুব আবেগপ্রবণ। আজকের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।’

এর আগে রাজনাথ সিং সচিবালয়ে উপস্থিত হলে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী দুই মাসের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠক আয়োজন করবে ভারত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমন্ত্রণে তিনদিনের সরকারি সফরে গতকাল শনিবার ঢাকা সফরে আসেন রাজনাথ সিং।