বেকার ছেলে বাড়ি ছাড়ছেন না, আদালতে বাবা-মা

বেকার ছেলের আচার-আচরণে বিরক্ত হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে বাড়ি ছাড়তে বলেছিলেন বাবা-মা। মুখের কথায় কাজ না হওয়ায় শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা।

আদালত রায় দিয়েছে, অর্থ দিয়ে বাবা-মাকে সাহায্য না করলে বাড়িতে থাকার অধিকার নেই ছেলের। তাই তল্পিতল্পা গুটিয়ে অন্যত্র যেতে হবে বছর তিরিশের মাইকেল রোতোন্ডোকে।

নিউ ইয়র্কের ক্যামিলাসের ঘটনা। মার্ক ও ক্রিস্টিনা রোতোন্ডোর অভিযোগ, তাদের ছেলে মাইকেল সংসারের কোনো দায়দায়িত্ব নেন না। তার উপরে আট বছর ধরে মাইকেল বেকার।

এক বাড়িতে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে ছেলের সঙ্গে বাক্যালাপও নেই তাদের। গত ফেব্রুয়ারি থেকে মাইকেলকে পাঁচবার বাড়ি ছাড়ার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তারা।

মাইকেল তাতে কর্ণপাত না করায় বাবা-ছেলের দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত কক্ষ পর্যন্ত। আদালত জানিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি ছেলেকে প্রথম নোটিস পাঠিয়েছিলেন মার্ক।

সেখানে তিনি লেখেন, আমি আর তোমার মা ঠিক করলাম, তোমার আর আমাদের বাড়িতে জায়গা হবে না। তোমার হাতে ১৪ দিন সময় আছে।

মার্কের অভিযোগ, সেই নোটিস পাঠানোর পরেও কেটে গিয়েছে চার মাস। আরও চারটি লিখিত নোটিস গিয়েছে ছেলের কাছে।

মার্ক জানান, মাইকেলকে চাকরি খোঁজার জন্য ১,১০০ ডলার দিয়ে সাহায্যের প্রস্তাবও দেন তিনি। কীভাবে একা থাকতে হবে, সেই পরামর্শও দেন চিঠিতে। যদিও তাতে হেলদোল হয়নি মাইকেলের।

৫ মার্চ শেষ চিঠিতে মার্ক সাফ জানান, এ বার তিনি এমন ব্যবস্থা নেবেন যাতে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হবেন মাইকেল।

মঙ্গলবার আদালত কক্ষে মুখোমুখি হন দুপক্ষ। মার্ক ও ক্রিস্টিনার পক্ষে আইনজীবী থাকলেও নিজের মামলা একাই লড়েন মাইকেল। রায় যায় তার বিরুদ্ধে।

নিউ ইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডোনাল্ড গ্রিনউড মাইকেলকে তার বাবার বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন।

আদালতের কাছে ছয়মাস সময় চান মাইকেল। বিচারপতি বলেন, একমাত্র বাবা-মা অনুমতি দিলেই তা সম্ভব। কিন্তু মার্ক ও ক্রিস্টিনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি মাইকেল।

এমনকি তার কথা ঠিক মতো শোনা হয়নি, এই অভিযোগ তুলে রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

আদালত বলেছে, তার আবেদন পুনর্বিবেচনা না হওয়া অবধি বাবা-মার বাড়িতে থাকতে পারবেন তিনি। তাই মঙ্গলবার রায় শুনেও সেই বাড়ির পথেই হাঁটেন মাইকেল।