বেগমগঞ্জে ধর্ষণ মামলার আসামী জাকিরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

এইচ এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, গিয়াস উদ্দিন মিঠু, ও সাংবাদিক এইচ. এম আয়াত উল্যার বিরুদ্ধে বানোয়াট, মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ ও অপপ্রচার করে সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে করেছেন গিয়াস উদ্দিন মিঠু ও সাংবাদিক এইচ. এম আয়াত উল্যা।

দুপর ১২টায় বেগমগঞ্জ চৌরাস্তাস্থ নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা বানেয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান গিয়াস উদ্দিন মিঠু ও এইচ. এম আয়াত উল্যা।

এইচ. এম আয়াত উল্যা বলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের, আবদুল্লাহপুর (মিদ্দা বাড়ীর) আবুল খায়েরের পুত্র সেনবাগ রাস্তার মাথার হকার জাকির হোসেন ২০১৫ সালে ১৫ আগষ্ট সকাল ১০টায় ফাহিমা আক্তার (১৩) কাবিলপুর স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীর স্কুলের যাওয়ার সময় পথ থেকে জোর করে হকার জাকির হোসেন, তার ভগ্নিপতি জসিম উদ্দিন, ছোট ভাই বাবু, বোন ধনি বেগম সহ অঙ্গাত নামা একটি সি.এন.জি যোগে অপহরণ করে বেগমগঞ্জ থানাদ্বীন কাজীর হাট কাজী অফিসে নিয়ে যায় সেখানে দুটি নিল কাগজে ফহিমা আক্তারের জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়। এরপর জসিম উদ্দিন ফহিমার মা বাবাকে মোবাইলে কল করে নিয়ে আসে কাজী অফিসে, পরে ফাহিমার মা বাবাকে সহ কিছু না বলে জসিমের দ্বীনেশগঞ্জ তার ভাড়া বাসায় নিয়ে অটক করে এবং ফাহিমার বিয়ে হয়ে গেছে বলে তার মা বাবাকে জানয়। কিন্তু পুলিশের তদেন্তে বিয়ে এবং কাবিনের কোন সত্যতা পাওয়া যায় নাই। এদিকে গিয়াস উদ্দিন মিঠু সংবাদ সম্মেলনে লিখি বক্তব্যে জানান সেনবাগ উপজেলার মইজদীপুর (মিয়াজান মিয়া বাড়ীর) মাজহারুল ইসলাম কাজলের অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুল পড়ুয়া কন্যা ফাহিমা আক্তার প্রমি (১৩)কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের নামে গত ৩ বছর যাবত অবৈধভাবে ধর্ষণ করে আসছে প্রতারক জাকির হোসেন (৪২) প্রমির পিতামাতা বিয়ের কাবিনের জন্য বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও ৩ বছরেও বিয়ের কাবিন করাতে পারেনি। বাধ্য হয়ে প্রতারক হকার জাকির ও বিয়ে পড়ানোকারী সেনবাগ উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেত্রী কাননের স্বামী নিকাহ রেজিষ্টার (কাজি) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফহিমার বাবা নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গত ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে একখানা অভিযোগ করে বলেন প্রতারক জাকির তার ভগ্নিপতি জসিম উদ্দিন সহ মিলে অপহরনের পর বিয়ে এবং কাবিনের বিষয়ে সমত্যতা যাচাই বাচাই করার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশ সুপার নোয়াখালী বেগমগঞ্জ মডেল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিন করার জন্য নির্দেশ দিলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বেগমগঞ্জ মডেল থানার এস আই সুজন বিকাশ চাকমাকে তদন্ত ভার দেন, সুজন বিকাশ চাকমা অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থল কাজী অফিস ও দ্বীনেশগঞ্জ জসিমের ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত করে তদন্তে ফাহিমা আক্তারের বিয়ে এবং কাবিনের কোন সত্যতা পায় নায়। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। যার স্মারক নং ১০২৫১, তাং- ২১/১২/২০১৮ইং প্রতিবেদনের আলোকে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারী ফাহিমা আক্তার নিজে বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি এজহার দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ০৫/১৯ জি.আর২০/১৯ দ্বারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনীয় ২০০৩ এর ৭/৯(১)/৩০তৎসহ ৩২৩/৩০৭/৪২০/৫০৬ পেনাল কোঢ উক্ত মামলায় জেল খাটে হকার জাকির হোসেন, তার ভাই মমিন উদ্দিন বাবু ও বিবাহ পড়ানোকারী নিকাহ রেজিষ্টার (কাজি) নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন জামিনে এসে গত ২৩ এপ্রিল ২০১৯ জাকির হোসেন সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন প্রমিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করা হয় যার জিডি নং ১৪৩৩ জিডির এক দিন পরেই ২৫ এপ্রিল জাকির হোসেন সহ তার দুই বন্ধু মিলে প্রমিকে পুনরায় অপহর করে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার উত্তরে মিরওয়ারিশপুর ইতালি নুরুল ইসলামের বিল্ডিয় এর ৩য় তালায় পুনরায় ধর্ষন করে। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় জাকির সহ তার এক বন্ধুর বিরোদ্ধে অপহর ও ধর্ষনের বিরোদ্ধে আরও ১টি মামলা হয়, যাহার মামলা নং ৬৭/১৯ জি আর নং ৮৯৮/১৯ ২টি অপহর ও ধর্র্ষন মামলার আসামী জাকির হোসেন প্রমিকে মামলায় সহায়তাকারী প্রমির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াখালী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ও সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিঠুর ও সাংবাদিক এইচ. এম আয়াত উল্যার বিরুদ্ধে মিথ্যা টাকা চাওয়ার ও মারধরের অভিযোগ করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট ৩নং আমলী আদালত, নোয়াখালীতে দুটি অপহর ও ধর্ষন মামলা থেকে বাচার জন্য জাকির হোসেন বাদী হয়ে ৯ মে ২০১৯ একটি পিটিশান দায়ের করেন যার নং ২৯০/১৯ গত ২৬ মে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ করে মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। অন্যদিকে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের সহায়তাকারী অনঅনুমোদিত নাম সর্বস্ব ভূয়া অনলাইন পত্রিকার ভূয়া সাংবাদিক, বিএনপির কর্মী, একাধিকবার গণধোলাইয়ের শিকার বিভিন্ন জন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়ধীন রয়েছে বলে জানান সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিঠু সাংবাদিক এইচ. এম আয়াত উল্যা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক হরলাল ভৌমিক, নোয়াখালী সময় সম্পাদক ও মানব জমিনের স্টাফ রিপোর্টার নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক সচিত্র নোয়াখালী সম্পাদক আমিরুল ইসলাম হারুন, নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও এশিয়া টিভির জেলা প্রতিনিধি তাজুল ইসলমা মানিক, কার্যকরী সভাপতি ও ৭১টিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি মোহতাসিম বিল্লাহ সবুজ, কোষাধ্যক্ষ ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি আলা উদ্দিন শিবলু, সহ-সম্পাদক চ্যানেল ৯ জেলা প্রতিনিধি ফয়েজুল ইসলাম জাহান, প্রেস ইউনিয়ন সোসাইটির নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি এ.বি.এম কামাল উদ্দিন, চৌমুহনী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও বাংলাটিভির জেলা প্রতিনিধি ইয়াকুব নবী ইমন, চৌমুহনী প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও আরটিভির জেলা প্রতিনিধি মনির হোসেন বাবু, আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নোয়াখালী বার্তার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রুমি, প্রমূখ।