বেগুনে আগুন, কেজি ১০০ টাকা!

ঢাকার কারওয়ান বাজারে বেগুনের দাম শুনে কিছুটা অবাক হলেন ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের বাসিন্দা আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, এটা পাইকারি বাজার। এখানে দাম কম হওয়ার কথা আর এখানেই দাম চড়া। তিনি আরও বলেন, বেগুন এই বাজারে ১০০ টাকা, ভাবা যায়?

বাজার ঘুরেই তাঁর কথার সত্যতা মেলে। পাশাপাশি দুটি দোকানেই কেবল লম্বা বেগুন আছে। দুই দোকানেই বেগুনের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। জানতে চাইলে বিক্রেতা মো. আক্তার বলেন, টানা বৃষ্টিতে বেগুনের সরবরাহ কমেছে। এ জন্য দামও বেশি।

অন্য বাজার থেকে এই বাজারে দাম কমার কথা অথচ বেড়েছে। এর কারণ কী, জানতে চাইলে আরেক বিক্রেতা আনিছ মিয়া বলেন, ‘আমরা যেই দামে কিনছি, সেই দামেই বিক্রি করছি। লাভ নেই বললেই চলে।’ অন্যরা কীভাবে কম দামে দিচ্ছেন, তা তাঁর জানা নেই বলে জানান তিনি।

তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মজিবর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগেও বেগুন ছিল ৫০ টাকা, আজ দাম শুনি ১০০ টাকা। দাম শুনেই মাথা ঘুরে গেছে। তাই বেগুন না কিনে অন্য সবজি কিনছি।’

সকালে কাঁঠালবাগান বাজারে লম্বা বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। অথচ এক সপ্তাহ আগেও বেগুন ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। জানতে চাইলে এই বাজারে ফারুক স্টোরের বিক্রেতা ফয়সাল বলেন, ‘সরবরাহ কম আর মালের চাহিদা বেশি। এ জন্য দামও বেশি। আমাদের কিছু করার নেই।’

হাতিরপুল বাজারেও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এই বাজারের সবজি বিক্রেতা মাহবুব বলেন, ‘কদিন আগেও বেগুন পাইকারি বাজারে কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এর বাইরে শ্রমিক খরচ আছে, পরিবহন খরচ আছে। তাই কেজি বিক্রি করছি ৮০ টাকা।’ আরেক বিক্রেতা আবদুস সাত্তার বলেন, রোজার শুরুতেও বেগুন বিক্রি করেছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর এখন বেগুনের দামে আগুন। প্রতি পাল্লা বেগুন ৩৫০ টাকা পাল্লা। এই বেগুন কেজিতে ৮০ টাকা বিক্রি করে লাভ হয় সামান্যই। আর দাম বাড়ার কারণে বেগুন বিক্রি কম বলে জানান তিনি।

ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘বেগুনের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে এটি খাওয়া বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো পথ দেখি না। তাই সবজির তালিকা থেকে বেগুন বাদ দিয়েই বাজার করলাম।’