‘বেপরোয়া চালক’ ফখরুল থেকে সাবধান : কাদের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘বেপরোয়া চালক’ আখ্যা দিয়ে তার থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে কারচুপির জন্য মির্জা ফখরুল আমাকে ‘স্টেডিয়ামে গিয়ে’ মাফ চাইতে বললেন। মির্জা ফখরুল বেপরোয়া চালক, কখন যে কোন এক্সিডেন্ট ঘটায়। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ১০ বছরে যে মহাসচিব দশ মিনিটের একটা আন্দোলন দাঁড় করাতে পারেননি, যে মহাসচিব (মহাসচিবের দল) জাতীয় নির্বাচনে তিন শ আসনের মধ্যে দশটিরও কম আসন পায়, আন্দোলনে ক্ষমাহীন ব্যর্থতা, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় তার নেতৃত্বে, লজ্জা-শরম থাকলে আপনার আরও আগে পদত্যাগ তরা উচিৎ ছিল।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চুরির জন্য বিএনপি মহাসচিব মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে প্রকাশ্যে মাফ চাইতে বলেন।

জবাবে আজ কাদের বলেন, ‘আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেন? কোন দোষে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বতঃফূর্ত গণজাগরণ ভালো লাগছে না? ভালো তো লাগবেই না। এই অভূতপূর্ব ফলাফল পঁচাত্তর পরবর্তীকালে বাংলাদেশে কেউ আর কখনও দেখেনি।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের রায়ে এই অভূতপূর্ব ও বৈপ্লবিক ভূমিধস বিজয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে- এই বিজয়কে যারা প্রত্যাখ্যান করে, তাদের জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লজ্জা-শরম নেই তো, পদত্যাগও করবে না। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে? মির্জা সাহেব আপনি যে জিতলেন, কারচুপি হলে সেখানে আপনি কেমন করে জিতলেন, এটার জবাব দিন।’

টিআইবির রিপোর্ট প্রত্যাখান আ’লীগের

এ সময় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দেওয়া প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘টিআইবিকে বলব, গল্প সাজাচ্ছেন অলীক, অবিশ্বাস্য রূপকথার কাহিনী সাজাচ্ছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হয়েছে। আপনাদের অথবা প্রতিপক্ষের একজন প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন যখন ভোট গ্রহণ শুরু হয় তখন কি একটি কেন্দ্রে কেউ চ্যালেঞ্জ করেছে? একজন এজেন্ট প্রতিবাদ করেছে? টিআইবির কোনো প্রতিনিধি কি কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করেছে? অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কথা বলেছে? না বললে এতদিন পরে কেন?

তিনি বলেন, ‘তখন বলেননি, তখন বলার কোনো কারণ খুঁজে পাননি, এত দিন পরে এই অলীক অবিশ্বাস্য রূপকথার কাহিনী কেন সাজাচ্ছেন, আমরা তা জানি। এর রহস্য আমরা জানি। এর জবাব বাংলাদেশের জনগণই দেবে।’

মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদসহ সংগঠনিটর শীর্ষ নেতারা।