বেলজিয়ামের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে ফ্রান্স (ভিডিওসহ)

বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল বেলজিয়াম। দু’চোখে স্বপ্ন ছিল, বুকভরা আশা ছিল-ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে যাবে রেড ডেভিলরা। সেই লক্ষ্যে গোটা ম্যাচে মরিয়া হয়ে খেলে গেল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখল না। হারের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যদের। তাদের ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ফরাসিরা।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। প্রথমবার ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রেঞ্চরা। দ্বিতীয়বার ২০০৬ সালে রানার্স-আপ হয়েছিল তারা। ফের ফাইনালি লড়াইয়ে নাম লেখালো সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স-বেলজিয়াম। দুদলই আক্রমণাত্মক শুরু করে। প্রথম সুযোগ পায় বেলজিয়াম। তবে ১৫ মিনিটে হাতের নাগালে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এডেন হ্যাজার্ড। পাল্টা আক্রমণে ২৩ মিনিটে সুযোগ পায় ফ্রান্স। কিন্তু তারাও স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি। হাতে পাওয়া সুযোগ নষ্ট করেন অলিভিয়ের জিরু।

এরপর অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে চলে খেলা। উভয় দলই একাধিক সুযোগ পায়। তবে ফুটবল দেবী কাউকেই খুশি করেননি। ৩৭ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক কর্তোয়া। এর মিনিট দুয়েক পর ফ্রান্সকে রক্ষা করেন গোলপ্রহরী লরিস। শেষ পর্যন্ত গোলের খাতা ফাঁকা নিয়ে বিরতিতে যেতে হয় দুদলকে।

প্রথমার্ধে বঞ্চিত হলেও বিরতির পরই গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স। ৫১ মিনিটে আঁতোয়া গ্রিজম্যানের বিষাক্ত কর্নার থেকে দুরন্ত হেডে নিশানাভেদ করেন স্যামুয়েল উমতিতি। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ’৯৮ চ্যাম্পিয়নরা।

এগিয়ে গিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দেখায় ফ্রান্সকে। গোলকিপার, রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগের মাঝে দারুণ সমন্বয় গড়ে উঠে। সবমিলিয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণে বেলজিয়ানদের ব্যতিব্যস্ত রাখেন ফরাসিরা। তবে আর গোলমুখ খুলতে পারেনি তারা। একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন মাতুইদি, জিরু, এমবাপ্পেরা।

মাঝে মধ্যে আক্রমণ দাগিয়েছে বেলজিয়াম। তবে চীনের প্রাচীর সমতুল্য ফ্রান্সের রক্ষণ ভাঙতে পারেননি হ্যাজার্ড-ব্রুইনারা। ফলে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। আর বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

এ নিয়ে স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলেন দেশম। তার নেতৃত্বে ’৯৮ বিশ্বকাপ ঘরে তোলে ফ্রান্স। এবার তিনি দলটির কোচ। স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলে অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে সোনালী ট্রফি জেতা কীর্তিমানদের পাশে বসবেন এ ফরাসি ফুটবল মস্তিষ্ক।