বোমা কোথায় ফেলা হয়েছিল, মোদিকে মমতা

যুদ্ধের আবহে দেশ যখন সরগরম, তখন সরাসরি শান্তির বার্তা দিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘রাজনীতির প্রয়োজনে আর একটা নির্বাচন জেতার জন্য যুদ্ধ আমরা চাই না। আমরা শান্তি চাই।’

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।

পুলওয়ামায় হামলার পরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অতর্কিত হানা এবং তারপর থেকেই যেভাবে গোটা দেশে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বৃহস্পতিবার সরাসরি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথমদিন থেকেই শুনছি, শত্রুপক্ষের ৩০০-৩৫০ লোক মারা গিয়েছেন। কত কী, আদৌ কেউ মারা গিয়েছেন কি না, আমরা জানতে চাই। আরও জানতে চাই, বোমা কোথায় ফেলা হয়েছিল, আদৌ বোমা ঠিক জায়গায় পৌঁছেছিল কি না।’

এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিদেশি সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলছে, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বোমাটা অন্য জায়গায় পড়েছে, মিস হয়েছে। মানুষ মারা যায়নি। কেউ বলছে একজন মারা গিয়েছেন। তো সত্যটি কী, এটা তো মানুষ জানতে চাইতেই পারে। আমরা বাহিনীর সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু, বাহিনীকে সত্যি কথাটা বলার সুযোগ দেয়া উচিত। দেশের লোকেরও সত্যিটা জানা উচিত।’

বুধবার দিল্লিতে বিরোধী দলগুলোর বৈঠক সেরে এসেছেন মমতা। সেখানেও জাতীয় রাজনীতি নিয়ে ‘সঙ্কীর্ণ রাজনীতি’ করার জন্য আঙুল তোলা হয়েছে দেশের শাসক দল বিজেপির দিকে।

এদিনও মমতার অভিযোগ, পুলওয়ামার ঘটনা এবং তারপরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রত্যাঘাত, কোনো কিছু নিয়েই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আজ পর্যন্ত একটি বৈঠকও করেননি।

তিনি বলেন, ‘দেশের পক্ষে আমরা সবাই। দেশমাতৃকাকে আমরা সবাই ভালবাসি। জওয়ানদের রক্তে রাজনীতি করা আমরা ভালবাসি না। জওয়ানদের রক্তের দাম অনেক বেশি। তারা আমাদের গর্ব। তারা সীমান্তে লড়াই করেন। কিন্তু, ভোট বাক্সে ভোটের ফায়দা তোলার জন্য তাদের নিয়ে রাজনীতি করে কেউ কেউ। এটার নিন্দা করি।’

মমতা আরও বলেন, ‘রাজনীতির প্রয়োজনে আমরা যুদ্ধ চাই না। দেশের প্রয়োজনে হলে আমরা দেশের সঙ্গে রয়েছি।’