বোমা মিজান গ্রেপ্তার হলেও পালিয়েছে দুই সহযোগী

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা মিজান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান ওরফে মুন্না ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন দিন কয়েক আগে। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ তাকে গ্রেফতার করে।

বোমা মিজানকে গ্রেফতার করে নিশ্চিন্ত হওয়া হলো না এনআইএ-এর। বরং এলো আশঙ্কা। কারণ, এনআইএ-কে ধোঁকা দিয়ে পালিয়ে গেছে কদর গাজি ও হাবিবুল্লাহ নামে দুই জঙ্গি। তাদের সঙ্গেই উধাও হয়েছে মিজানের স্ত্রী-ও।

৬ অগাস্ট বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার করা হয় বোমা মিজানকে। জেরায় সে জানায় ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে আরও দুই ‘জঙ্গি’। কিন্তু তাদের ধরতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় এনআইএ-কে। আগাম খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় ওই দুই জঙ্গি। তাদের সঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে মিজানের স্ত্রীও।

জি নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পালিয়ে যাওয়া কদর গাজি শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরির বিশেষজ্ঞ। মোমা মিজানের মতোই কদর গাজিও ছিল মোস্ট ওয়ান্টেড। বীরভূমের লাভপুরে কদর গাজির শ্বশুরবাড়ি। কদর গাজিকে ধরতে বীরভূমের লাভপুরে হানা দিয়েছিল গোয়েন্দারা। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, হাবিবুল্লার দায়িত্ব ছিল সংগঠনে নতুন জঙ্গি নিয়োগ করা। এলাকার যুবকদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে নিয়ে আসত সে। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করতো কদর গাজিও। এনআইএ-র অনুমান, বোমা মিজান, কদর আর হাবিবুল্লাহ তিনজনে মিলে ফের বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।

ইতোমধ্যেই, ঝাড়খণ্ডের পাকুরিয়া থেকে দিলওয়ার হোসেন ওরফে আলি হাসান ওরফে উমর নামে এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল দিলওয়ার। বোমা মিজান ছাড়াও বেঙ্গালুরু থেকে আদিল শেখ নামে আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জঙ্গিদের একটি ডেরায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দু’জন মারা যায়। তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির বিশাল নেটওয়ার্কের কথা জানা যায়।

সূত্র : জি নিউজ