ব্যক্তিগত বিমানে করে খাশোগির লাশ সৌদিতে নেয়া হয়

তুরস্ক সরকার বিশ্বাস করে কনসল্যুটের ভেতর হত্যা করা সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির মরদেহ রিয়াদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এক দেহরক্ষী খাশোগির মরদেহ একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে সৌদিতে নিয়ে গেছেন। সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মাহির আব্দুল আজিজ মুতরিব নামের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে মরদেহ সরিয়ে নেয়ার সঙ্গে জড়িত। ধারণা করা হচ্ছে একটি বড় ব্যাগে করে তার মরদেহ কনসল্যুট থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।

সৌদি যুবারজের সঙ্গে প্রায়ই মুতরিবকে বিভিন্ন সফরে যেতে দেখা যায়। ২ অক্টোবর জামাল খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার দিনে তিনি ইস্তান্বুল থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশে যান।

তিনি তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তার ব্যাগ পরীক্ষা করতে দেননি। এছাড়া ব্যক্তিগত ওই বিমানটির কোনও ফ্লাইট শিডিউল, বিমান এবং ফ্লাইটের কোনও তথ্যও তিনি বিমান বন্দরে দেননি। সূত্র বলছে, কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী মুতরিবকে বিমান বন্দরে খুব দ্রুত চলাচল করতে দেখা যায়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান রোববার খাশোগি হত্যার নগ্ন সত্য প্রকাশ করার কথা বলেন। মঙ্গলবার খাশোগি ইস্যুতে একটি বিবৃতি দেয়ার কথা রয়েছে তার।

এরদোয়ান ইস্তান্বুলের একটি প্রচারণা সভায় বলেন, আমরা এই হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করবো। যার মাধ্যমে এ হত্যার নগ্ন সত্য প্রকাশিত হবে। আমরা শুধু সাধারণ কিছু তথ্যই প্রকাশ করবো না, আমরা এ ঘটনার পেছনের নগ্ন সত্যটা বের করেই ছাড়বো।

তুরস্ক প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে এবং এরদোয়ানের মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়। যেখানে দুই নেতাই খাশোগি হত্যার সবরকম বিষয় খোলাসা করার ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, সৌদি কনসল্যুটে ঢোকার ১৭ দিন পর অবশেষে গত শুক্রবার খাশোগি হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি। তাদের কর্মকর্তারাই খাশোগিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে সৌদি কর্তপক্ষ বলছে, খাশোগির মরদেহ কোথায় আছে এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সৌদি কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কার্পেটে করে পেচিয়ে খাশোগির মরদেহ স্থানীয় এক ব্যক্তিকে দেয়া হয়। এর আগে রোববার তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেন, বেঁচে থাকতেই খাশোগির মরদেহ ১৫ টুকরো করা হয়। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনও বিস্তারিত জানাতে পারেনি তারা।