ব্যবহারকারী মারা গেলে কী হবে ফেসবুক-টুইটার-ইউটিউবের?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে না এমন মানুষের সংখ্যা কম। ব্যবহারকারী মারা গেলে কী হয় এসব অ্যাকাউন্টের? ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন নীতি অনুসরণ করে।

ব্যবহারকারী চাইলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর পরও অ্যাকাউন্টটি চালু রাখে। মৃত্যুর পর স্মৃতি হিসেবে চালু রাখতে চাইলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যক্তির নামের পাশে ‘Remembering’ শব্দটি দেখাবে। মৃত্যুর পর অ্যাকাউন্টটি কে চালাবে সে ব্যাপারে ব্যবাহারকারীকে একটি আইনি চুক্তি ফেসবুককে পাঠাতে হবে। এতে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক এবং তার নাম জানাতে হবে। মৃত্যুর পর তা দেখিয়ে ওই ব্যক্তি ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টটি নিজে চালাতে পারে। আবার মৃত্যুর খবর ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে কেউ না জানালেও সক্রিয় থাকবে অ্যাকাউন্টটি।

ইউটিউব ব্যবহারকারীদের মৃত্যুর পর নিজেদের অ্যাকাউন্টের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সুযোগ দিয়ে রেখেছে। যারা ইউটিউবে চ্যানেল খুলে মিলিয়ন ডলার আয় করছেন তাদের জন্য এটা খুবই উপকারী হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুর পর আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি কে চালাবে সে-সংক্রান্ত একটি আইনি দলিল পাঠাতে হবে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে। না চাইলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ নিজেরাই চ্যানেলটি বন্ধ করে দেবে। কোনও ইউটিউব চ্যানেলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো তৎপরতা না চালানো হলে সেটি এমনিই বন্ধ করে দেয় ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।

ইনস্টাগ্রামের নীতি অনেকটা ফেসবুকের মতোই। এর অ্যাকাউন্ট মৃত্যুর পর চাইলে বন্ধ করে দেওয়া যায় বা স্মৃতি হিসেবে চালু রাখা যায়। তবে এই সিদ্ধান্ত ব্যবহারকারীর হাতে নেই। মৃত্যুর পর যে ব্যক্তি ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট ইনস্টাগ্রামকে দেখাতে পারবে সে ব্যক্তিই অ্যাকাউন্টটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারবে। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি চালু থাকবে না বন্ধ করে দেওয়া হবে।

মৃত্যুর পর অ্যাকাউন্টের কী হবে সে ব্যাপারে টুইটারের আলাদা কোনো নীতি নেই। তবে টুইটারের নীতি অনুযায়ী ব্যবহারকারীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের কেউ চাইলে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তিনি যে পরিবারের সদস্য সে প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ দিতে পারলে টুইটার ব্যক্তির পোস্ট, ছবি এবং অ্যাকাউন্ট অপসারণ করবে। আর এ জন্য অবশ্যই ডেথ সার্টিফিকেট বা মৃত্যুর প্রমাণপত্রও টুইটার কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।