‘ব্যাংক কার্যক্রমে মানুষের অবিশ্বাস বেড়েছে’

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, সম্প্রতি ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা সন্দেহ ও অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে, যা ব্যাংকগুলোর জন্য অশনি সংকেত।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন পরিশোধবিষয়ক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ফজলে কবির বলেন, ‘সমস্যা কাটিয়ে সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য সঠিক স্থানে সঠিক লোককে নিয়োগ দিতে হবে।’

ফজলে কবির বলেন, ‘ওভার ইনভয়েসিংয়ের নামে বিদেশে অর্থ পাচার আগের থেকে অনেকটাই কমে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হলো রেমিট্যান্স। কিন্তু, গত অর্থবছর জুড়েই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ নিম্নমুখী ধারায় ছিল। সম্প্রতি রেমিট্যান্স ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।’

গভর্নর বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান উৎস হতে পারে এবং দারিদ্র্য বৈষম্য ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা হ্রাসে ব্যাপক অবদান রাখতে পারে। এ কারণে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে ও আপনাদের সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বদা ব্যবসাবান্ধব সরকারি ও আর্থিক নীতি প্রণয়নে বন্ধ পরিকর।’

তিনি বলেন, সম্পদের সুষম ব্যবহার ও অর্থের অপচয় রোধের পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।

বিএসআইইউ’র দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক এবিএম জহুরুল হুদার সভাপতিত্বে কনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।