‘ব্যাংক লুটের তদন্ত না করায় আসামি হবে সরকার’

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুটের কোনো তদন্ত করেনি সরকার। এ জন্য আপনারা আসামি হতে পারেন।

চার হাজার কোটি টাকাকে অর্থমন্ত্রী সামান্য বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই অর্থের মালিক আপনি নন, জনগণ। দেশের সকল স্তরে দুর্নীতি ও লুট হয়েছে। সরকারি দলের নেতারা এর সাথে জড়িত। তাদের বিচার হয়নি।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা, তফসিলের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে খুলনায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রথম জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. কামাল এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় হাদিস পার্কে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৪টায় জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। এছাড়া মঞ্চে গণসংগীত পরিবেশন করা হয়।

জনসভায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সরকার জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করুন।

তিনি বলেন, সরকার প্রধানের পদত্যাগ, মন্ত্রিসভা বাতিল, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিন। নির্বাচনকালীন সরকারের কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না।

এসময় ইভিএমকে যাদুর মেশিন আখ্যায়িত করে জেএসডি সভাপতি বলেন, ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা বাতিল করতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যে কোনো মূল্যে সরকারের ভোট চুরি ঠেকাতে হবে। জনগন এবার ভোট দিতে চায়। মানুষ তার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছে। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষ রাজপথে নামবে।

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি ভোট কারচুপির একটি কৌশলমাত্র। প্রায় চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দেয়া যাবে না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কিশোরদের কোটা ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের মতো ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। লাখো জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হবে।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডির জেলা সভাপতি আ ফ ম মহসীন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও জেএসডির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।

এতে বক্তৃতা করেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আতাউর করিম ফারুক, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় সাংগঠকি সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আব্দুর নূর, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।